বাউফলে সেতু নির্মাণে দীর্ঘসূত্রিতা, জনগণের ভোগান্তি চরমে
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সেতুটির নির্মাণকাজ মাঝপথে থেমে যাওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ধুলিয়া লঞ্চঘাট-কালিশুরী সড়কের ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন খালের উপর ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কেকে এন্টারপ্রাইজ নামের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকার চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু কার্যাদেশ পেয়ে শুধুমাত্র পাইলিং নির্মাণ করে প্রায় দেড় বছর ধরে কাজ ফেলা রাখা হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির দেওয়ান বলেন, ঢাকা-বাউফল রুটের অসংখ্য লঞ্চ যাত্রী প্রতিদিন এই পথে যাতায়াত করেন। সেতুটি নির্মাণ না করায় সবাই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ ঘুরে বিকল্প পথে সবাইকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আবদুল জলিল বলেন, সেতুর নির্মাণকাজ শুরুর পর নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। শিগগিরই আবার নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।
এলজিইডির বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান হোসেন বলেন, ফেলে রাখা কাজ পুনরায় শুরু করতে ঠিকাদারকে একাধিকবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে দ্রুত কাজ শুরু না করলে চুক্তি বাতিল করে নতুনভাবে দরপত্র আহবান করা হবে।