• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

নাটোরে আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ২

প্রকাশ:  ১০ অক্টোবর ২০২২, ১১:১৩ | আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২২, ১২:০৪
নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের হামলায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের তিনজন আহত হয়েছেন।

রোববার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের বামিহাল বাজারে পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের সবাই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহত দুজন হলেন সুকাশ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আফতাব হোসেন (৫০) ও রুহুল আমিন (৪৫)। তারা দু’জনই সুকাশ ইউনিয়নের বামিহাল গ্রামের বাসিন্দা। রুহুল আমিন বর্তমান ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলামের অনুসারী বলে জানা গেছে।

জানা যায়, সাবেক ইউপি সদস্য আফতাব ও বর্তমান ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলামের মধ্যে বামিহাল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই যুগ ধরে বিরোধ চলে আসছে। ফরিদুল ইসলাম ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। দুই পক্ষের বিরোধে এটা সপ্তম খুনের ঘটনা। এর আগে আফতাবের মা চম্পা বেগমও প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন। সম্প্রতি ফরিদুল ইসলামের সমর্থক দুলাল আকন্দের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ চোরাই বৈদ্যুতিক মোটর উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা গ্রেপ্তার হন। কয়েকদিন আগে তারা জামিনে বের হয়ে আসার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সাবেক ইউপি সদস্য আফতাবের নেতৃত্বে তার কয়েকজন অনুসারী বর্তমান ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলামের অনুসারী রুহুল আমিন ও আবু মুসার দোসাপাড়ার বাড়িতে হামলা চালান। এ ঘটনার জেরে রুহুল ও মুসা তাদের লোকজন নিয়ে কিছুক্ষণ পর বামিহাল বাজারে এসে আফতাব ও তার লোকজনের ওপর পাল্টা হামলা করেন। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হলে আফতাব, রুহুল আমিনসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।

পরে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথেই আফতাবের মৃত্যু হয়। এদিকে রুহুল আমিন সোমবার ভোররাত সোয়া চারটার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিংড়া সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম রুহুল আমিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে আনার পথেই আফতাব হোসেনের মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আফতাবের প্রতিবেশী এনামুল হোসেন বলেন, পরিকল্পিতভাবে আফতাবকে খুন করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। তারা আফতাবকে উদ্ধার করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন গুলি করে পালিয়ে যান। তবে গুলিতে কেউ হতাহত হননি।

বর্তমান ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম ও তার অনুসারীরা এ ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন। তাই এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নাটোরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান বলেন, খবর পাওয়ামাত্র ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। নিহত আফতাব হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

নাটোর,নিহত,সংঘর্ষ,আওয়ামী লীগ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close