মুন্সিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, একজনের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুরের পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৮০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তারা হলেন জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০), তারেক (২০) ও শাওন (২০)। এদের মধ্যে শাওনের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা তিনটার দিকে এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। বিকেল সাড়ে ৫টার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একে একে আহতদেরকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
সম্পর্কিত খবর
আলমগীর হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, বিকেলে মুক্তারপুর ব্রিজের পাশে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় জাহাঙ্গীরকে। তার মুখমন্ডলে গুরুতর যখম হয়েছে। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিক্যাল নিয়ে আসা হয়। তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
আহত তারেক জানান, তিনি ছাত্রদল কর্মী। বিএনপির পূর্বঘোষিতো কর্মসূচিতে অংশ নিতে তিনি গিয়েছিলেন সেখানে।
আহত শাওনের বন্ধু নাহিদ খান জানান, শাওন ‘মিশুক’ গাড়িচালক। তিনি সমাবেশে গিয়ে আহত হন। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার মুরমা গ্রামে। বাবার নাম মো. সোহরাব আলী। শাওনের মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে জরুরি বিভাগ থেকে একটি সূত্র জানিয়েছে, মুন্সিগঞ্জের ঘটনায় শাওনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি পেশায় মিশুকচালক, তবে যুবদলের কর্মী বলে শোনা যাচ্ছে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, জাহাঙ্গীরকে নাক-কান-গলা বিভাগে, বাকি দুজনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শাওনের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম