• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

বিদ্যালয় কক্ষে টর্চারসেল, কলেজছাত্রকে রাতভর নির্যাতন

প্রকাশ:  ২০ জুলাই ২০২২, ১৫:১৯ | আপডেট : ২০ জুলাই ২০২২, ১৫:২৩
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের ঝাড়গাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের কক্ষে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে রাতভর মধ্যযুগীয় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ওই পরীক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (১৯জুলাই) সদর উপজেলার আখনগর ইউনিয়নের গুঞ্জুরা হাটের ঝাড়গাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে।

নির্যাতনের স্বীকার আবু নাঈম (১৭) ঝাড়গাঁও এলাকার দিনমজুর তহিদুল ইসলামের ছেলে। সে ঠাকুরগাঁও আবুল হোসেন কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরিক্ষা দিবে। এব্যাপারে নাঈমের বাবা রুহিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

জানা যায়, গত সোমবার রাত ১০টার দিকে আখানগর ইউনিয়নের গুঞ্জুরাহাট থেকে দেলোয়ার ও তার ছেলে মুন্নাসহ ১৫ যুবক কলেজছাত্র নাঈমেকে তুলে নিয়ে যায় স্থানীয় এক উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানে তারা নাঈমকে রাতভর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন। পরের দিন মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় ভিকটিমের বাবা ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ ওই বিদ্যালয় থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন। তবে অভিযুক্তরা বলছেন নাঈমের কাছ তারা ধার হিসেবে ৪৫ হাজার টাকা পাবেন। টাকা দিচ্ছে না বলে তাকে তুলে আনা হয়েছে। নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেন অভিযুক্তরা। অন্যদিকে তথ্য সংগ্রহ ও শিক্ষার্থী নাঈমের ভিডিও সাক্ষাৎকার নিতে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বিপ্লব নয়া দিগন্তের রুহিয়া প্রতিনিধি আপেল মাহামুদের মুঠোফোন কেড়ে নেন এবং লাঞ্ছিত করেন।

এ বিষয়ে নাঈমের বাবা তহিদুল ইসলাম জানান, আমার অভাবের সংসার। লেখাপড়ার পাশাপাশি নাঈম মাঠে দিনমজুরের কাজ করেন। দিন শেষে যা টাকা পান তা দিয়ে সংসারের খরচ ও তার লেখাপড়ার ব্যায় করেন। দেলোয়ার কোন স্বার্থে এতোগুলো টাকা নাঈমকে দিলো। যদি নাইমকে টাকা নিয়ে থাকে তাহলে দেলোয়ার আমাকে কেন বলল না। কেন তারা আমার সন্তানকে স্কুলের ঘরে আটক করে মারধর করলো? কি অপরাধ ছিলো আমার ছেলের। দেলোয়ার বাহিনীর কঠোর শাস্তি চাই।

এব্যাপারে ইউপি সদস্য মো. বিপ্লব এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সাথে কথা বলতে গেলে তারা কেউ কথা বলতে রাজী হননি।

এ প্রসঙ্গে আখানগর ইউপি চেয়ারম্যান রোমান বাদশা এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, নাঈম নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করে রাখা হয়েছে এ খবর আমি রাতেই শুনেছি। অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় আর খোঁজ নিতে পারিনি।

এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, গতকাল মঙ্গবার পর্যন্ত ঈদ উপলক্ষে বিদ্যালয় বন্ধ ছিলো। আজ থেকে বিদ্যালয় খোলো। তবে বিদ্যালয় রুমে কলেজছাত্রকে মারধরের বিষয়টি আমার অজানা। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, এ ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থী নাইমের বাবা তহিদুল ইসলাম থানায় একটি লিখির অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পূর্বপশ্চিম- মিলন/ এনই

ঠাকুরগাঁও

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close