বন্যার্তরা ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রে, পৌঁছেনি ত্রাণ
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছেন বন্যার্তরা। তবে সদর উপজেলার দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত পৌঁছেনি কোনো ত্রাণ। পানিবন্দী অধিকাংশ মানুষ খাবার, স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছে।
শুক্রবার (২০ মে) বিকাল ৫টার দিকে দুটি আশ্রয় কেন্দ্র সদর উপজেলার হাসননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত ত্রাণ পৌঁছেনি। অন্যান্য সুবিধাদিও নেই। মানুষজন থাকছেন গাদাগাদি করে।
সম্পর্কিত খবর
হাসন নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে গেলে সেখানে আশ্রয় নেওয়া গৃহবধূ জাহেরুন বেগম অভিযোগ করেন, ছোট তিন সন্তান নিয়ে বুধবার এখানে এসেছি। আজ পর্যন্ত কেউ খোঁজখবর নেয়নি। চাল নাই। কাইল থাকি না খাইয়া আছি।
মো. ফয়সল মিয়া (৫০) বলেন, আমরা না খেয়ে আছি। কিন্তু কেউ আমাদের দিকে তাকাচ্ছে না। স্ত্রীসহ ছয় সদস্যকে নিয়ে কষ্টে আছি। শুধু আমি না এখানে ত্রিশটি পরিবার আছে কেউ ত্রান বা কোন কিছুই পায়নি।
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে গিয়ে দেখা যায়, এখানে ৩৫টি পরিবার খুবই গাদাগাদি করে আছেন। তবে যারা নতুন আসছেন তারা কেউই জায়গা পাননি। কষ্ট করে আছেন।
সুলতানপুর থেকে এসেছেন শিল্পি বেগম তিনি বলেন, আমার পরিবারের চারজন প্রথমে ঘরের মেঝেতে পানি থাকায় খাটে উঠে ছিলাম। পানি বাড়ছে দেখে উপায় না পেয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে গতকাল সকালে এখানে চলে আসি। কিন্তু থাকার জায়গা এখনো পায়নি। অন্যরুমগুলোর তালা খুলে দেওয়ার কথা বললেও কেউ শুনছে না।
যারা আশ্রয় কেন্দ্রে আছে তারা বিশুদ্ধ পানি এবং বাথরুমের সুবিধা পাচ্ছে না কেন এমন প্রশ্ন করলে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইমরান শাহরিয়ার বলেন, আমি বিষয়টা খোঁজ নিয়ে দেখছি।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আগামীকাল সুনামগঞ্জ পৌরসভার মাধ্যমে হাছান নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে বন্যায় আশ্রয় নেওয়াদের ত্রাণ দেওয়া হবে।
যারা আশ্রয় কেন্দ্রে আছে তারা বিশুদ্ধ পানি এবং বাথরুমের সুবিধা পাচ্ছে না কেন এমন প্রশ্ন করলে জেলা প্রশাসক ব্যস্ত বলে ফোন কেটে দেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এনজে