• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে বরগুনায় অবিরাম বৃষ্টি

প্রকাশ:  ০৯ মে ২০২২, ১৫:৫০
বরগুনা প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় 'অশনি' এর প্রভাবে সোমবার (৯ মে) সকাল থেকে উপকূলে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। একই সাথে বইছে হালকা বাতাস। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী বরগুনায় এখন ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত চলছে।

বরগুনা জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অশনির প্রভাবে ৯ মে সকাল থেকে পরবর্তি ২৪ঘণ্টা বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পাথরঘাটা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় অধিকাংশ মাছধরা ট্রলার ঘাটে ফিরেছে। কেউ কেউ সমুদ্রতীরের বিভিন্ন খালে আশ্রয় নিয়েছে। যারা ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত এখনো পায়নি তাদেরকে সংকেত পৌঁছে সতর্ক করার পাশাপাশি তীরে আনার চেষ্টা চলছে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের কথা মাথায় রেখে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। অশনি মোকাবিলায় বরগুনায় ৬২৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুও রাখা যাবে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোয় বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবার ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সর্বশেষ বুলেটিন-৬ এ জানানো হয়, গতি কমিয়ে শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। যার ফলে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অশনির গতি উঠছে ১১৭ কিলোমিটারে। গত ৬ ঘণ্টায় উপকূলের দিকে ধেয়ে আসার গতি কমিয়ে স্থির অবস্থায় থেকে আরও ঘনীভূত হয়ে শক্তি সঞ্চয় করছে অশনি।

এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'অশনি' উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি গত মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/আরএইচ/এনজে

ঘূর্ণিঝড়,অশনি,অবিরাম,বৃষ্টি

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close