ঠাকুরগাঁওয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীন

ঠাকুরগাঁওয়ে চঞ্চল্যকর কৃষক তোফাজ্জল হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক গাজী দেলোয়ার হোসেন এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, রানীশংকৈলের বলাঞ্চা গ্রামের কমির উদ্দীনের ছেলে নজরুল ইসলাম, একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ইউনুস আলী ও বদির উদ্দীনের ছেলে সেকেন্দার আলী, উপজেলার চন্দন চৌহাট গ্রামের কতিব উদ্দীনের ছেলে আব্দুল জলিল, বালিয়া ডাঙ্গী উপজেলার ভানোর বালিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে কোফিল উদ্দীন। প্রত্যেকে এক হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দেন আদালত।

এ ছাড়া পলাতক রয়েছেন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি সিকেন্দার আলী ও নজরুল আলী।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খলিলুর রহমান, তোফাজ্জল হোসেন ওরমজিবর রহমানকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

সরকার পক্ষের আইনজীবি আব্দুল হামিদ বলেন, ২০১০ সালের ১৪ মার্চ ভুট্টাক্ষেতে একটি মস্তকবিহীন লাশ পাওয়া গেলে বালিয়াডাঙ্গি থানার এসআই মো. আতিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন। যার তদন্তভার একই থানার অপর এসআই মো. আতিকুল ইসলামের ওপর অর্পিত হলে তিনি সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করেন। তার তথ্যমতে একটি ইটভাটা হতে একটি মস্তকের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।

পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার এসআই ফরহাদ আলীর ওপর অর্পিত হলে তিনি ৮ জনকে আসামি করে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর জেলা সিআইডির পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক মামলাটির অধিকতর তদন্ত করে ৮ জনকে প্রাথমিকভাবে দোষী করে পুনরায় চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তকালে আসামি মো. ইউনুস আলী, মো. আব্দুল জলিল ও মো. কফিল উদ্দীন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় নিজেদের দোষ স্বীকার করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এই মামলায় রাস্ট্রপক্ষে মোট ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আমরা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা এ রায়ে সন্তুষ্টি।

পূর্বপশ্চিম/আরএইচ/এনএন