• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

খুলনায় ভদ্রা নদীর উপর নির্মিত কাঠের সেতুটি যেন মরণ ফাঁদ!

প্রকাশ:  ০৩ এপ্রিল ২০২২, ১৩:৪৯
শেখ নাদীর শাহ্, খুলনা প্রতিনিধি
শোভনা-ভদ্রদিয়া কাঠের সেতু

খুলনার ডুমুরিয়ায় ভদ্রা নদীর উপর নির্মিত শোভনা-ভদ্রদিয়া কাঠের সেতুটি এখন পারাপারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে মারাত্মকভাবে বেড়েছে জনভোগান্তি। তবুও বাধ্য হয়েই ঝুঁকির মধ্য দিয়ে পারাপার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে এলাকাবাসী পূর্বপশ্চিমবিডিকে জানান, এক সময়ের খরস্রোতা ভদ্রা নদী আশির দশকে পলি জমে ভরাট হয়ে যায়। এরপর ওই ভরাট হওয়া নদীর উপর দিয়েই এলজিইডি অধিদপ্তরের অর্থায়নে পাকা কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ করা হয়। গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভরাট হওয়া ভদ্রা নদী খনন করেন। এতেকরে দীর্ঘ দিন পর নদীটির পুন:খননে নদী তার অস্তিত্ব ফিরে পেলেও শোভনা-খর্ণিয়া দুই ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

এর পর দুঃখ দুর্দশার কথা চিন্তা করে এলাকার সাধারণ মানুষের আর্থিক অনুদানে ও উপজেলা পরিষদের সহযোগিতায় খননকৃত নদীর উপর প্রায় একশত বিশ ফুট দৈর্ঘ্য একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। যা দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতে থাকে। প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ওই সেতু দিয়ে দু’ ইউনিয়নের স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী, ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল, মটর ভ্যান, নছিমন ও করিমন যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়ন একটি কৃষি প্রধান এলাকা। এখানকার উৎপাদিত কৃষি পণ্য খর্ণিয়া, ডুমুরিয়া, খুলনা সহ বিভিন্ন হাটে বাজারজাত করার একমাত্র মাধ্যম এ কাঠের সেতুটি।

সম্প্রতি এ সেতুটির একাংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যাওয়ায় সর্বসাধারণ রয়েছে চরম ভোগান্তিতে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য পারাপার করতে না পেরে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।

এ বিষয়ে শোভনা পশ্চিম পাড়া এলাকার কৃষক কোরমান শেখ, আবু বক্কার, ব্যবসায়ী রুহুল বাওয়ালী, মনিরুল সরদারসহ অনেকেই বলেন, শোভনা-খর্ণিয়া সড়কের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এ কাঠের সেতু। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটির এতই চাপ যে বছর যেতে না যেতেই কয়েক দফা ভেঙ্গে পড়ে। তাতে সেচ্ছাশ্রমে আবারও জোড়াতালি দিয়ে চলতে হয় জনসাধারণকেই। বর্তমানে সেতুটি ভেঙে পড়ায় মারাত্মক ঝুঁকি নিয়েও বাধ্য হয়েই সকলকে পারাপার হতে হচ্ছে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি পারাপারের সময় পড়ে গিয়ে নিয়মিত ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। জনদুর্ভোগ লাঘবে সেতুটির সংস্কারপূর্বক সেখানে একটি পাকা ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্য পুর্বপশ্চিমবিডি’র এ প্রতিনিধিকে জানান, অতি দ্রুত কাঠের সেতুটি সংস্কার করে সর্বসাধারণের চলাচলের উপযোগী করা হবে। এছাড়া সেখানে একটি পাকা ব্রীজ নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএনএস/জেএস

ডুমুরিয়া,খুলনা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close