• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

জাতীয় পতাকা অবমাননা, প্রধান শিক্ষকের তদবির

প্রকাশ:  ১৯ মার্চ ২০২২, ১২:১২
বরগুনা প্রতিনিধি

স্বাধীনতার মাসে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ উঠেছে বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৫৬নং মানিকখালী ছোনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে।

সরকারি নিয়ম অনুসারে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম থাকলেও নিয়ম ভঙ্গ করতে দেখা গেছে ওই বিদ্যালয়কে। রাতে সরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা ওড়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

১৭ মার্চ রাত আটটার দিকে সরজমিনে বুড়িরচর ইউনিয়নের ৫৬নং মানিকখালী ছোনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়ের সামনে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। তবে সাংবাদিকরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে গভীর রাতে জাতীয় পতাকাটি নামিয়ে ফেলেন তার লোকজন। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য টুলু নামে স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে তদবির শুরু করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল আহমেদ।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এই বিদ্যালয়ে প্রায় সময় জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়। কোনো কোনো সময় রাত ৭/৮ টার সময় দেখা যায় পতাকা নামাতে। আবার কখনো সারা রাতই উড়তে থাকে। গভীর রাতেও এখানে পতাকা উড়ছে। অথচ কর্তৃপক্ষ পতাকা নামানোর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। একুশে ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ফুল না দেয়ারও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

বরগুনা পাবলিক পলিসি ফোরামের আহবায়ক হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, জাতীয় পতাকা প্রতিটি রাষ্ট্র ও জাতির স্বকীয়তা এবং স্বাধীন-সার্বভৌমত্বের প্রতীক। এই পতাকার সম্মান রক্ষা আমাদের সব নাগরিকের কর্তব্য। এ ব্যাপারে উদাসীনতা কাম্য নয়।

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আবদুল মোতালেব মৃধা বলেন, জাতীয় পতাকা অবমাননা করার অর্থ হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা, স্বাধীন বাংলাদেশকে অস্বীকার করা। ৩০ লাখ শহীদ ও ৩ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা লাল-সবুজের পতাকা পেয়েছি। এ পতাকার অবমাননা মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি আরো বলেন, এর আগেও জাতীয় পতাকা অসম্মান ও অবমাননার কথা শুনলেও ইদানীং তা বেশি শোনা যায়। কারণ দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিচ্ছে না। প্রশাসন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করলে আগামীতে জাতীয় পতাকা অবমাননা করার কেউ সাহস পাবে না।

মানিকখালী ছোনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল আহমেদ বলেন, জাতীয় পতাকা অবমাননা হয়েছে সত্য। এটা নিয়ে নিউজ করবেন না। আর নিউজ করলে কিছু হয় না। এর চেয়ে আপনারা মিষ্টি খাওয়ার খরচ নিয়ে যান।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এম এম মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টা সম্পর্কে আমি অবগত না। জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং নামানোর একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। যদি কেউ সময় ব্যতীত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অবশ্যই এটি অপরাধ। আমি আমার অফিসারের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

পূর্বপশ্চিম/আরএইচ/এনএন

শিক্ষক,পতাকা,বরগুনা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close