• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

সিলেটে বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগের প্রকোপ, দিশেহারা কৃষক

প্রকাশ:  ১০ মার্চ ২০২২, ১২:৫০
সিলেট প্রতিনিধি

সিলেটজুড়ে বোরো ধানে দেখা দিয়েছে ব্লাস্ট রোগের প্রকোপ ও পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। হঠাৎ করে পোকা ও রোগের আক্রমণে বিভিন্ন হাওরে সুবজ ধান ক্ষেত হয়ে যাচ্ছে হলদে রঙের। কৃষকরা নানা ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করার পরও তা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। এত করে বোরো চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।

কৃষি অফিস থেকে বলা হচ্ছে, বৃষ্টির অভাবে এই রোগ দেখা দেয়। তবে সার দিলে তা কমে যাবে। কিন্তু সার দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ কৃষকদের।

জানা যায়, সিলেট ও মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় এ বছর প্রায় ৫৮ হেক্টর জমিতে রোবো চাষের আবাদ হয়েছে। এসব জমিতে হাইব্রিড জাত টিয়া, রুপালী, উফশী, ব্রিধান ৯২, ব্রিধান ২৮, ব্রিধান ২৯, বিআর ১৪, বিআর ৯২ জাতের ধানসহ বিভিন্ন জাতের ধানের চাষ হয়েছে। রোপণ থেকে ধান কাটতে প্রায় ১৬০-১৮০ দিন সময় লাগে।

ধান রোপণের পর থেকে ভালো গাছও হয়েছিল। মধ্যখানে একদিন হালকা বৃষ্টি হওয়ার কারণে কৃষকরা ছিলেন আনন্দিত। বৃষ্টি হওয়ায় ধানের ভালো বৃদ্ধিও হয়েছিল। কিন্তু গত কিছু দিন থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের পাতা লালচে হয়ে যাচ্ছে। এভাবে আরও সপ্তাহ খানেক বৃষ্টি না হলে প্রায় বেশির ভাগ ধানের চারা মরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ধানের পাতায় লালচে দাগ পড়া রোগকে বৈজ্ঞানিকভাবে বলা হয় ব্লাস্ট। বৃষ্টি না হলে মূলত এ রোগ হয়। আবার সার দিলে এবং বৃষ্টির পানি পেলে চারা আবার টিক হয়ে যায়। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সার দিয়েও এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাচ্ছে না।

সরেজমিনে হাকালুকি হাওরে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা তাদের জমি থেকে আগাচা পরিষ্কার করছেন। তারা জানান, প্রথম দিকে ধানের চারা ভালো হয়েছিল। দেখে মনে মনে অনেক খুশি ছিলাম। বর্তমানে ধানের পাতায় লালচে রোগ দেখা দিয়েছে। এভাবে চললে একেবারেই ধান হবে না। বেশির ভাগ জমিতে এ রোগ দেখা যায়।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, শুষ্ক মৌসুম থাকার কারণে মাঝামাঝি সময়ে জমিতে দুইবার পানি দিতে হয়। এই সময় বৃষ্টি হলে ধান ভালো হয়। যাদের সেচের সুবিধা ভালো তারা সেচ দিয়ে পানি দেন। অন্যদের আশানুরূপ ধান হয় না।

পূর্বপশ্চিম/একে/এনএন

কৃষক,সিলেট

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close