নিজ গুলিতে বিজিবির সদস্যের আত্মহত্যা
পারিবারিক কলহের জের ধরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বিজিবি সদস্য তানভীর নিজ গুলিতে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি নওগাঁর সাপাহার সীমান্তে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রীর লিজার দাবি, তানভীর নেশাগ্রস্ত ছিল।
তানভীর শেখ নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামের শেখ আরজ আলীর ছেলে ছেলে। তার স্ত্রীসহ ছয় বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
জানা গেছে,তানভীরের সাথে একই গ্রামের টুটুল কাজীর মেয়ে লিজা খানমের নয় বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয়। তাদের বিয়ে লিজার পরিবার মেনে নেয়নি।এ নিয়ে মামলা-মকদ্দমা পর্যন্ত হয়।তাদের তানহা নামে ৬ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তানভীর নওগাঁয় চাকরিরত অবস্থায় একা থাকত। একমাত্র মেয়ে তানহাকে দাদির কাছে রেখে স্ত্রী লিজা খানম ঢাকায় লেখাপড়া করে। তানভীর ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসার কথা ছিল। কিন্তু স্ত্রীর সাথে শেষ কথা বলে বৃহস্পতিবার ভোরে বুকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন।
তানভীরের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তার মৃত্যুতে পরিবারে শোকের মাতম চলছে। ৬ বছর বয়সী একমাত্র শিশুসন্তান তানহা সমবয়সী বন্ধুদের সাথে খেলা করছে। তবে সে এখনও বুঝতে পারেনি তার বাবা আর আসবে না ফিরে। কোনো দিন তার সাথে কথা বলবে না বা কোনো দিন আর কোলে তুলে আদর করবে না।
শুক্রবার (৪ মার্চ) দুপুরে তানভীরের বাড়িতে গেলে স্ত্রী লিজা খানম জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে ফোনে তানভীরের সাথে কথা হয় । তার কথায় বোঝা যায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে আত্মহত্যা করার কথা জানায়। কিন্তু আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। কারণ এর আগেও কয়েকবার এরকম আত্মহত্যা করার কথা বলেছিল। তার ফোন চালু অবস্থায় গুলির শব্দ শোনা যায়।
তানভীরের পিতা আরজ আলী জানান, তানভীরের সাথে প্রায় চার বছর দেখা হয় না। ফোনে কথা হতো। দুই মাসের ছুটিতে বাড়ি আসতে চেয়েছিল। তবে সে আসছে ঠিকই কিন্তু লাশ হয়ে। তার সাথে আমার আর কোনো দিন কথা হবে না। রাত ১১টায় মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। যশোর বিজিবি কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে জানাযা শেষে পারিবারিক করবস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
-পূর্বপশ্চিবিডি/এসআই/এনএন