বোমা মেরে ইউপি সদস্যকে হত্যাচেষ্টা, যুবক আটক

যশোরের মনিরামপুরে বোমা মেরে মশিউর রহমান নামে এক ইউপি সদস্যকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মনিরুজ্জামান মনি নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তবে মশিউর রহমান অক্ষত আছেন।

বুধবার (২ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে তিনি হামলার শিকার হন।

ইউপি সদস্যকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা তিনটি বোমা নিক্ষেপ করলেও বোমাগুলোর বিস্ফোরণ ঘটেনি। তিনি অক্ষত আছেন। এদিকে ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি ককটেল উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জি. এম. মশিউর রহমান চালুয়াহাটি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের (মোবারকপুর) ইউপি সদস্য। তিনি ওই গ্রামের আব্দুস সাত্তার গাজীর ছেলে। আটক মনিরুজ্জামান (৩২) মেম্বারের প্রতিবেশী এরশাদ আলীর ছেলে।

মশিউর রহমান মোবারকপুর ওয়ার্ড থেকে টানা দুবারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য। উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারে তার মোবাইল ফোনের দোকান আছে।

মশিউর রহমান বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। পথিমধ্যে আজিজুর খাঁর বাঁশ তলায় পৌঁছলে হঠাৎ করে আমার ওপর বোমা হামলা হয়। দুর্বৃত্তরা আমাকে লক্ষ্য করে তিনটি বোমা ছুড়ে। একটি বোমা আমার ডান পায়ের হাঁটুতে লাগে এবং আরেকটি আমার মোটরসাইকেলের সামনের লাইটে এসে পড়ে। এ সময় মোটরসাইকেলের আলোতে আমি মনি নামে একজনকে দেখেছি। তিনি সামনে থেকে আমার ওপর বোমা নিক্ষেপ করেছিল।

‘দ্রুত বাড়িতে গিয়ে জানালে কয়েকজন আমাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। আমি ভেবেছিলাম হয়তো হামলাকারীরা আমাকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়েছে। কিন্তু রাস্তার উপর দুটি বোমা পড়ে থাকতে দেখে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এ সময় হামলাকারী মনিকে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা ধরে ফেলে। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ আসে। তখন বোমাসহ মনিকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। হামলাকারীরা আমার গ্রামের। ধারণা করছি তাদেরকে কেউ এ কাজে ব্যবহার করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ২০১৬ সালে যখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিই তখন একবার আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এবারও ভোটের আগে আমাকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হয়েছিল। রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক বানী ইসরাইল বলেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে ককটেল সদৃশ্য দুটি বস্তু উদ্ধার করেছি। স্থানীয়রা যাকে ধরে দিয়েছেন, সেই মনি আমাদের হেফাজত আছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

-পূর্বপশ্চিম/এএইচ/এনএন