পাইকগাছায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ৩ উপজেলার চিকিৎসাসেবা
পাইকগাছার গড়ইখালী ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে তিন উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। চিকিৎসক সঙ্কটের পাশাপাশি পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে রয়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে থাকেন ইউনিয়নের ১৪টিসহ পার্শ্ববর্তী দাকোপ ও কয়রা উপজেলার ২২টি গ্রামের অন্তত অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। দূরত্ব ও ভঙ্গুর যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক বিবেচনায় তৃণমূলের জরুরি স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। তবে দীর্ঘদিন যাবৎ এখানে চিকিৎসক সঙ্কট রয়েছে। দীর্ঘদিনের পুরনো দ্বিতল ভবনের দেওয়ালের বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে ফাটল। খসে পড়ছে বিভিন্ন স্থানের পলেস্তরা। এক কথায় নানা সঙ্কটের মুখে বাধ্য হয়েই স্বাস্থ্যসেবা পেতে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষেরা ছুটছেন সেখানে। তবে পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ভগ্নদশায় এলাকাবাসী যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন।
সম্পর্কিত খবর
জানা গেছে, দীর্ঘদিন সংষ্কারের অভাবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এমন করুণ অবস্থা বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। একদিকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অন্যদিকে চিকিৎসকসহ নানা সঙ্কটে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা পেতে বাধ্য হয়ে উপজেলাসহ জেলা সদরে ছুটছেন বলেও জানান তারা।
স্থানীয় শিক্ষক হাফিজুর রহমান জানান, ১৯২১ সালে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে উপজেলার গড়ইখালীতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়। পরে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লে নিরাপত্তাজনিত কারণে তা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এরপর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও শতবর্ষী পুরোনো ভবনটি অপসারণ না করায় পরিণত হয়েছে বন জঙ্গলে।
গড়ইখালীর বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন দাকোপ উপজেলার গুনারী, কালাবগি, নলিয়ান, কামনেবাসিয়াসহ কয়রার হড্ডা, বানিয়া খালী, শুড়িখালী, হাতিয়ার ডাঙ্গা ও পাইকগাছার গড়ইখালী ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামসহ অন্তত ২২টি গ্রামের মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে দীর্ঘদিন ধরে এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার শিপন রায় বলেন, ‘এখানে একজন মেডিকেল অফিসার নিয়োগ থাকলেও তিনি মাতৃকালীন ছুটিতে আছেন। তিনি ছাড়া সেখানে আর কেউ নেই।
এনএন