লোকালয়ে ৭ বন্য হাতি, আতঙ্কে ঘরছাড়া গ্রামবাসী
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত অতিক্রম করে সাতটি বন্য হাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে কয়েকটি গ্রামে। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে পার্শ্ববর্তী এলাকায় আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে হাতিগুলো উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের বড়গোপটিলা জঙ্গলে অবস্থান নেয়। এর আগে হাতির দল বড়গোপ, মাহরাম, আনন্দপুর, কড়ইগড়া গ্রামের কৃষকদের বোরো জমি ও জঙ্গলের গাছগাছালি নষ্ট করে।
সম্পর্কিত খবর
কড়ইগড়া গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ হাসান আবির বলেন বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সীমান্ত নদী যাদুকাটা হয়ে সাতটি বন্য হাতি বাংলাদেশে নেমে আসে। এতে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, এখন বড়গোপটিলার জঙ্গলে অবস্থান করছে হাতিগুলো। এর পাশেই মানুষের বসতি, ঘরবাড়ি রয়েছে। তবে কিছু উৎসুক মানুষ হাতি দেখতে এসে উৎপাত করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এতে যেকোনো সময় জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে হাতি লোকালয়ের ক্ষতি করতে পারে।
তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ সরদার বলেন, রোববার সকালে সীমান্ত জনপদে হাতি প্রবেশের খবর পাই। তখনি বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শহিদুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এএসআই বিভিন্ন গ্রামের মসজিদের মাইকে জনগণকে হাতি না মারতে আহ্বান জানিয়েছেন। হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে বাড়ির সামনে আগুন জ্বালিয়ে অবস্থানেরও পরামর্শ দেন।
তাহেরপুর বন বিভাগের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা এখন বন বিভাগের কর্মচারীদের নিয়ে বড়গোপটিলার জঙ্গলেই রয়েছি। হাতিগুলোকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মানুষকে বোঝানো হচ্ছে, তারা যেন এদের উৎপাত না করেন। আমরা চাচ্ছি, হাতিগুলো স্বাভাবিক নিয়মে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তাদের আস্তানায় চলে যাক।
পূর্বপশ্চিম/এএন/ এনই