• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন লিয়াকতের মা

প্রকাশ:  ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ২০:৩৬ | আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ২০:৪৯
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার রায়ে পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা। পরিবারের কয়েকজন সদস্য রায় শুনতে কক্সবাজার আদালতে যান। তাদের মাধ্যমেই লিয়াকতের মা রোকেয়া বেগম (৮০) লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার খবর শুনতে পান।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল বহুল আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। আদালত এ মামলায় লিয়াকত এবং বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপের মৃত্যুদণ্ড দেন। এছাড়াও ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন এবং সাতজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। রায়ের পরই লিয়াকতের বাড়িতে ভিড় জমায় গ্রামবাসী।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লিয়াকত চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের হুলাইন গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম সাহাব মিয়া। সিনহাকাণ্ডের কিছুদিন আগে মারা গেছেন তিনি। সিনহা হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি ছিলেন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলী।

রায় ঘোষণার পর লিয়াকতের গ্রামের বাড়ি দেখা গেছে, রায়ের খবর শুনে তার মা রোকেয়া বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। এ সময় প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা তাকে সান্তনা দেন। এক পর্যায়ে রোকেয়া বেগম নির্বাক হয়ে পড়েন।

জানা যায়, লিয়াকতরা ছয় ভাই ও এক বোন। এরমধ্যে লিয়াকত সবার ছোট। ২০১০ সালে তিনি পুলিশে যোগদান করেন। প্রথমে ডিবি, পরে সোয়াত ও অ্যান্টি টেরিরিজম টিমে কাজ করেন। এরপর পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর টেকনাফ থানার অধীনে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রে যোগদান করেন। এলাকাবাসী তাদের পরিবারকে শিক্ষিত পরিবার হিসেবে সম্মান দিত। তবে সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় তাকে নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

ইউনিয়নের হুলাইন গ্রামের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, সিনহা হত্যার রায় শুনতে লিয়াকতের পরিবারের সদস্যরা কক্সবাজারে চলে যান। রায়ে লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ গণমাধ্যমে প্রচার হলে তার মা রোকেয়া বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় প্রতিবেশীরা 'উচ্চ আদালতে আপিল করলে আপনার ছেলে ন্যায় বিচার পাবে' বলে সান্তনা দেন।

পূর্বপশ্চিম- এনই

লিয়াকত,সিনহা হত্যা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close