• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ধর্ষণ মামলায় মামুনুলের বিরুদ্ধে ৩ সাক্ষ্য

প্রকাশ:  ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:৩৯ | আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে আদালত। মামলায় তৃতীয় দফায় তিন জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

তৃতীয় দফায় সাক্ষ্যদেন- রিসোর্টের এক্সিকিউটিভ মাহবুবুর রহমান, আনসার সদস্য ইসমাইল ও সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আজ তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা সবাই মামুনুল হক ধর্ষণকাজে জড়িত বলে জানিয়েছেন।’

এদিকে মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, ‘সাক্ষ্যদাতাদের সাক্ষীতেই প্রমাণিত হয় এই ঘটনা সাজানো ছিল। পরিকল্পিতভাবে এটি ঘটানো হয়েছে।’

জানা যায়, এদিন সকাল ৯টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয় । সাক্ষ্য নেওয়ার সময় আদালতে শান্ত ও স্বাভাবিক ছিলেন মামুনুল হক। তাকে আদালতে হাজির করার পর হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীরা আদালতে উপস্থিত হন। তবে, কঠোর নিরাপত্তার কারণে কেউ মামুনুল হকের কাছে যেতে পারেননি। আদালতের কার্যক্রম শেষে দুপুর ২টায় আবার তাকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

এ ঘটনায়, ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন জান্নাত আরা ঝর্ণা । তবে তাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত। গত ১৩ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় মামুনুলের বিরুদ্ধে রয়েল রিসোর্টের সুপারভাইজার আব্দুল আজিজ, রিসিপশন কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম অনিক ও আনসার গার্ড রতন বড়াল সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।

পূর্বপশ্চিমবিডি/জেএস

হেফাজতে ইসলাম,মামুনুল হক,নারায়ণগঞ্জ,আদালত,ধর্ষণ,নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close