• সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ায় গৃহবধূ খুন, যুবক গ্রেপ্তার

প্রকাশ:  ১১ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:৪০
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

হত্যা মামলায় পুলিশের কাছে সাক্ষ্য দেন গৃহবধূ লায়লা। এরপর মামলাটির বিচারিক প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্য দেন স্বামী ও ছেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা তাদের বসতভিটায় গিয়ে হামলা চালায়। হামলায় গুরুতর আহত গৃহবধূ লায়লাকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর পরপারে চলে যান গৃহবধূ লায়লা।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হোতা ইরান (৩৩) নামে এক যুবককে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ভোরে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার ইছাখালী ভাবীর মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই ঘটনায় অভিযুক্ত ইরানের দুই ভাই মো. আরমান (৩৫) ও ইমতিয়াজ (৩২) পলাতক রয়েছেন।

ইরান নগরের ইপিজেড থানার ২ নম্বর মাইলের মাথা মহব্বত মুন্সীর বাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মৃত আবুল বশর।

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১১ এপ্রিল পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এরশাদ (২২) নামে এক যুবককে নগরের ইপিজেড থানার মাইলের মাথা মহিউদ্দিনের গ্যারেজের সামনে মারধর করেন ইরান ও তার দুই ভাই। দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত এরশাদকে ঘটনাস্থল থেকে প্রত্যক্ষদর্শীরা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার পরদিন এরশাদ মৃত্যুবরণ করেন।

এ ঘটনায় ইরান ও তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। এরপর আসামিরা গ্রেপ্তার হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে জেল খেটে জামিনে বের হয়ে আসেন। বের হয়ে মামলায় সাক্ষ্য না দেওয়ার জন্য আসামিরা সাক্ষীদের চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু লায়লা বেগমের স্বামী কবির আহম্মেদ (৬৫) ও ছেলে ওমর ফারুক (৩১) এরশাদ হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১ জানুয়ারি ইরান, তার দুই ভাইসহ অন্যান্য সহযোগীরা মিলে ইপিজেড থানা এলাকায় লায়লা বেগমের বসতভিটায় হামলা চালান। হামলায় লায়লা বেগম ও তার ছেলে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ৬ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন লায়লা বেগম।

এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় ইরান ও তার দুই ভাইয়ের নামে আরেকটি মামলা দায়ের হয়। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন তিন ভাই। পরে র‌্যাব তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জোরারগঞ্জ থানা এলাকায় ইরানের অবস্থান শনাক্ত করে। মঙ্গলবার ভোরে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইরানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

চট্টগ্রাম র‌্যাবের অধিনায়ক কর্নেল এমএ ইউসুফ বলেন, ইরান, আরমান ও ইমতিয়াজ- তিন ভাই মিলে পারিবারিক বিরোধের জেরে এরশাদকে হত্যা করেন। পরে মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ায় লায়লা বেগমকে হত্যা করেন। জোড়া হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা তিন ভাইয়ের মধ্যে মঙ্গলবার ভোরে ইরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার অন্য দুই ভাইকে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।


পূর্বপশ্চিমবিডি/জিএস

হত্যা মামলা,গ্রেপ্তার

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close