‘ভাই-বোন এক দলের লোক, তাদের জিজ্ঞেস করে নির্বাচনে দাঁড়াইনি’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, ভাই-বোনকে জিজ্ঞেস করে নির্বাচনে দাঁড়াইনি। তারা এক দলেরই লোক। তাদের মধ্যে বিভাজন পরিষ্কার। আমরা মামলা খেয়ে খেয়ে এবং গ্রেপ্তার হয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছি।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকালে শহরের মিশনপাড়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে তিনি এ কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আমি শঙ্কিত হবো না কেন। নেতাকর্মীদের বাড়িতে যখন পুলিশ হামলা করে। এজেন্টকে যখন পুলিশ ধরে নিয়ে যায় হেফাজতের মামলায়, তখন তো শঙ্কা সৃষ্টি হবেই।
তিনি বলেন, এতোদিন জনগণ প্রার্থী পায়নি, আমরাও রাজি হইনি। এখন আমরা রাজি হয়েছি, জনগণ মনের মতো প্রার্থী পেয়েছে। যে প্রার্থী সব সময় জনতার থাকবে।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বলেন, ভাই-বোন এক হয়ে গেলে ভালোই হতো। মিডিয়ার কল্যাণে এসব কথাবার্তা শুধু নারায়ণগঞ্জের মানুষ শোনে না, বিশ্বব্যাপী মানুষ শোনে। বাইরে কোথাও গেলেই নারায়ণগঞ্জের ব্যাপারে অনেক কথা উঠে যায়।
তিনি বলেন, কারো নামে ওয়ারেন্ট নেই? বিএনপি চেয়ারপারসন নিজে জেলে আছেন। তারেক রহমানও তো ওয়ারেন্ট নিয়েই বিদেশে আছে। কে মামলার মধ্যে নেই। রবি করে বিএনপি, তাকে ধরা হয়েছে হেফাজতের মামলায়। হেফাজতের লোকেরাই তো প্রধানমন্ত্রীকে কওমি জননীর উপাধি দিয়েছে। এখন গোলযোগ হেফাজতের সঙ্গে আর মামলা খায় বিএনপি।
তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, কালকে এসপি অফিসে গিয়েছিলাম তাকে পাইনি। আজকে গিয়ে বলবো আমার কাছে আর কোনো বিকল্প নেই। প্রয়োজনে আপনার অফিসের সামনে বসে পড়বো। এখান থেকেই আমি আমার নির্বাচন পরিচালনা করবো।
তিনি বলেন, আমার সঙ্গে শুধু বিএনপি নয়, সব দলের লোকেরা আছে। আমি দুই তিন ধাপে এজেন্ট তৈরি করছি। নারায়ণগঞ্জের যারা নাগরিক, যারা ট্যাক্স দেয় তাদের ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। তারা পানি পাচ্ছে না, শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণের শিকার। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতার জন্য জনগণ পরিবেশবান্ধব নগর পাচ্ছে না।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি