হাতীবান্ধায় বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ফটকা ফুটাইতে নিষেধ করায় আবু তালেব ও তার ছেলে রাশেদুল আলম সবুজকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে ফজু মিয়ার বিরুদ্ধে।
বুধাবর (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে চলে যায়। আহতরা হলেন, উপজেলার দালাল পাড়া এলাকার আবু তালেব(৬০) ও তার ছেলে রাশেদুল আলম সবুজ (২৪)।
সম্পর্কিত খবর
এ ঘটনায় গত বুধবার সকালে রাশেদুল আলম সবুজ বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার ৪ জানুয়ারি বিকেলে উপজেলার দালাল পাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত ফজু মিয়া(৫৫) উপজেলার দালাল পাড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
জানা গেছে, ফজু মিয়ার ছেলে শাকিবুল(১১) রাশেদুল ইসলামের দোকানের কাঁচা ওয়ালের উপর ফটকা ফোটায়। এতে করে রাশেদুল শাকিবকে ফটকা ফুটাতে নিষেধ করে। এ সময় শাকিব কান্নাকাটি করে বাড়িতে গিয়ে তার বাবা ফজুকে জানায়। ফলে ফজু মিয়া ও তার স্ত্রী আমিনা বেগম বাড়ি থেকে এসে রাশেদুলের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করে। এ সময় ছেলের আত্মচিতকারে ছুটে আসেন আবু তালেব। এতে করে অভিযুক্তরা আবু তালেবকেও মারধর করে আহত করেন।
এ বিষয়ে আবু তালেবের ছেলে রাশেদুল ইসলাম সবুজ বলেন, আমার বাড়ি সংলগ্ন দোকানের ওয়ালে সিমেন্ট দিয়ে কাজ করেছি। সেগুলো কাঁচা ছিলো। সেই ওয়ালের উপর শাকিব ফটকা ফোটায়। এতে করে ওয়ালের সিমেন্ট খসে পরে যায়। শাকিব ছোট মানুষ আমি তাকে শুধু নিষেধ করেছি। তারপর সে বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করে তার বাবাকে বলছে। আর তার বাবা কোন কিছু না শুনে না বুঝে আমার উপর হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করে। এ সময় আমার বাবা ছুটে আসলে তারা আমার বাবাকেও মারধর করে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফজু মিয়া বলেন, রাশেদুলের দোকনের ওয়ালের সিমেন্ট কে বা কারা ঢিল মেরে নষ্ট করেছে। আর সেই দোষ আমার ছেলের উপর দিয়েছে। আমি শুধু রাশেদুলের কাছে জানার জন্য গেছিলাম। তাকে কোন মারধর করা হয়নি। উল্টো সে আমাদের উপর হামলা চালায় ও মারধর করে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জিএস