গ্রাম পর্যায়ে মিলছে করোনার টিকা
করোনার টিকা গ্রহণ সহজ করতে যশোরের মনিরামপুরে এখন গ্রামে গ্রামে মিলছে এ টিকা। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) থেকে গ্রাম পর্যায়ে শুরু হয়েছে টিকার প্রথম ডোজের এ কার্যক্রম।
প্রথম দিনে উপজেলার ৫১টি সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) কেন্দ্রে ৩০০ জন করে ১৫ হাজার ৩০০ জন পেয়েছেন এ টিকা। সপ্তাহে দু দিনে স্বাস্থ্য সহকারীরা ইপিআই কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকছেন। টিকার নিবন্ধন না থাকলেও যে কেউ এ টিকা গ্রহণ করতে পারছেন।
সম্পর্কিত খবর
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, করোনার টিকা গ্রহণে সাধারণ মানুষের কষ্ট কমাতে গ্রাম পর্যায়ে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। উপজেলায় মোট ৪০৮টি টিকা দান (ইপিআই) কেন্দ্র রয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে ৩০০ জন করে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৪০০ জন করোনা টিকার প্রথম ডোজ পাবেন। প্রতি সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার এ টিকা দেওয়া হবে। একেক দিনে ৫১টি কেন্দ্রে ১৫ হাজার ৩০০ জন টিকা নিতে পারবেন। জানুয়ারি মাস জুড়ে গ্রাম পর্যায়ে করোনার এ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
সূত্রটি বলছে, যাঁদের টিকার নিবন্ধন নেই তারাও টিকাদান কেন্দ্রে যেয়ে টিকা নিতে পারবেন। জন্মসনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সাথে নিয়ে গেলে তিনি টিকা পাবেন। যাঁদের কোন কাগজপত্র নেই তারা ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যায়ন নিয়ে টিকা নিতে পারছেন।
এদিকে গ্রাম পর্যায়ে করোনা টিকার কার্যক্রম শুরু হওয়ায় খুশি টিকা গ্রহিতারা। রঘুনাথপুর গ্রামের শামসুদ্দীন বলেন, বাড়ির সবার টিকার নিবন্ধন করা ছিল। আজ (মঙ্গলবার) জালালপুর গ্রামের এক বাড়িতে টিকা দিচ্ছিল। খবর পেয়ে ওই কেন্দ্র থেকে সহজে টিকা নিছি। কষ্ট করে আর হাসপাতালে যেয়ে লাইন দিয়ে টিকা নেওয়া লাগল না। টিকা দেওয়ার এ সিস্টেম আমার পছন্দ হয়েছে।
খেদাপাড়া ইউনিয়নে দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মী মহিতোষ কুমার বলেন, আমরা তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী আজ (মঙ্গলবার) ইউনিয়নের তিনটি ইপিআই কেন্দ্রে ৯০০ জনকে করোনার টিকার প্রথম ডোজ দিয়েছি। যাঁদের টিকার রেজিস্ট্রেশন ছিল না তাঁদের নাম ঠিকানা লিখে টিকা দিয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার উপজেলার মশ্মিমনগর ইউনিয়নের কিসমত চাকলা গ্রামের টিকা দান কেন্দ্রে টিকার কাজের উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন। এ দিন ওই ইউনিয়নের লক্ষ্মীকান্তপুর এবং হাজরাকাঠি টিকা দান কেন্দ্রে এ টিকা দেওয়া হয়েছে।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, হাসপাতালে নিয়মিত নিবন্ধনকারীদের করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা চিন্তা করে গ্রাম পর্যায়ে করোনার টিকা দেওয়া শুরু করেছি। জানুয়ারি মাস জুড়ে সপ্তাহে দুদিন করে এ টিকা দেওয়া হবে। যাঁরা এখনো টিকা নেননি তাঁরা নিকটতম টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে সহজে টিকা নিতে পারবেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জিএস