• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

বাংলাদেশের বড় জয়ের পরও ব্যাটিং নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশ:  ০৬ মে ২০২৪, ০১:০৫
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর তাওহীদ হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটিং নিশ্চিতভাবে স্বস্তি দেবে। তবে বিশ্বকাপের আগে এমন ব্যাটিং স্বাগতিক শিবিরের জন্য শঙ্কার বটে। শুরুতে উইকেট হারানো, থিতু হয়েও উইকেট বিলিয়ে আসার পর তাওহীদ হৃদয়-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে চড়ে টানা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ।

রোববার (৫ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান করে জিম্বাবুয়ে। তাড়া করতে নেমে ৯ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। তাওহীদ ২৫ বলে ৩৭ ও মাহমুদউল্লাহ ১৬ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।

২টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তাওহীদ। আর মাহমুদউল্লাহর ইনিংসটি সাজানো ছিল ২টি ছয় আর ৩টি চারের মারে। দুজনের জুটি থেকে আসে ২৯ বলে ৪৯ রান।

এর আগের চারটি জুটির মধ্যে একটি ছাড়া বাকিগুলো টি-টোয়েন্টি সুলভ ছিল না। ওপেনিংয়ে লিটন দাস-তানজীদ হাসান তামিমের জুটি থেকে আসে ৩৫ বলে ৪১ রান। ১৯ বলে তানজীদ ১৮ রান করে ফিরলে ভাঙে জুটি। তানজীদের ইনিংসটি ছিল ধীরগতির।

ওপেনিং জুটির ভাঙনের পর ক্রিজে লিটনের সঙ্গী হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনের ব্যটিং ছিল দৃষ্টিকটু। জুটি থেকে আসে ২২ বলে ২০ রান। বাইরের বল টেনে নিয়ে ছয় মারতে গিয়ে ১৫ বলে ১৬ রান করে ফেরেন শান্ত। তার তিন বলের ব্যবধানে ফেরেন লিটন।

লিটন একবার আম্পায়ার্স কলে আরেকবার লুক জংওয়ের ক্যাচ মিসে দুই জীবন পান। কিন্তু ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি। ২৫ বলে ২৩ রান করেন এই ব্যাটার।

লিটনের বিদায়ের পর তাওহীদ-জাকের আলী খেলতে থাকেন দারুণ। ২৩ বলে ৩১ রান আসে জুটি থেকে। ১২ বলে ১৩ রানে জাকেরের আউটে ভাঙে জুটি। এরপর মাহমুদউল্লাহ-তাওহীদ দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। খর্ব শক্তির জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চাপহীন এমন ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ অস্বস্তির। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন লুক জংওয়ে।

এর আগে অভিষিক্ত জনাথন ক্যাম্পবেল-বেনেটের ব্যাটে চড়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দেয় জিম্বাবুয়ে। ২৯ বলে ৪৪ রান করে বেনেট অপরাজিত থাকেন। ৩টি ছয় ও ২টি চারের মারে ইনিংসটি সাজানো ছিল তার। ক্যাম্পবেলের ব্যাট মাত্র ২৪ বলে আসে ৪৫ রান। ৩টি ছয় আর ৪টি চারের মারে সাজানাও ছিল ইনিংস। আউট হয়েছেন শরিফুল ইসলামকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে।

জিম্বাবুয়ে ইনিংসটি বেনেট-ক্যাম্পবেলময়। ধুঁকতে থাকা দলের হাল ধরেন দুজনে। ৪২ রানে দলটি হারায় ৫ উইকেট। ততক্ষণে জিম্বাবুয়ের খরচ করে ১০.২ ওভার। বাকি ৫৮ বলে দলটি নেয় ৯৬ রান।

বেনেট-ক্যাম্পবেল ছাড়া দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে পেরেছেন মাত্র দুজন। তাও ওপেনার জয়র্লড গাম্বি ১৭ রান করতে ৩০ বল হজম করেন। আরভিন ১৬ বলে করেন ১৩। আর কেউ দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে পারেননি। শূন্য রানে ফেরেন মান্দান্ডে।

শুরুতে আঁটসাঁট বোলিং করলেও শেষ দিকে এলোমেলো ছিলেন সাইফউদ্দিনরা। ছয়ের নিচে ইকোনমিতে বল করেন তাসকিন-মেহেদি। ২টি করে উইকেট নেন তাসকিন-রিশাদ। সাইফউদ্দিন সর্বোচ্চ ৩৭ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।

জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ সিরিজ,ক্রিকেট
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close