প্রতারণার ডামি নির্বাচনকে কেউ স্বীকৃতি দেয়নি: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। প্রতারণার মাধ্যমে শেখ হাসিনার উপহার দেওয়া দিবানিদ্রায় থাকা নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে ভেজাল নির্বাচন ও কণ্ঠরোধের গণতন্ত্র তারা প্রত্যাখান করেছে। বিরোধীদের সমালোচনার ওপর সরকারের বুলডোজার চালানোর ঘটনা সর্বজনবিদিত। এই প্রতারণার ডামি নির্বাচনকে কেউ স্বীকৃতি দেয়নি। অচিরেই এই সরকার চোরাবালিতে হারিয়ে যাবে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ভুয়া ভোট শেষ হতে না হতেই শেখ হাসিনা নিশিরাতের সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই গেজেট জারি, তড়িঘড়ি শপথ ও নজিরবিহীন দ্রুততায় সরকার গঠনের ঘটনা প্রমাণ করে এক অজানা ভীতি-আতঙ্ক ঘিরে ধরেছে তাকে। সমস্ত কিছু অবৈধ—ভুয়া—আর জালিয়াতির আবর্তে তাসের ঘরের ওপর সিংহাসন পাতলে এমন নির্ঘুম অনিশ্চয়তা ও আতঙ্কে জীবন পতিত হয়।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণ ডামি নির্বাচন বর্জন করে চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। এর সঙ্গে জড়িত প্রক্রিয়া, ব্যক্তি, ফলাফল, শপথ, সংসদ, সরকার সবকিছুই প্রত্যাখ্যাত ও অগ্রহণযোগ্য। ৭ জানুয়ারি তথাকথিত নির্বাচনটি ছিলো গণতন্ত্রকামী জনগণের আন্দোলনের পক্ষে এবং শেখ হাসিনার ডামি নির্বাচন বর্জনের পক্ষে একটি সুস্পষ্ট গণরায়। এই ডামি সরকার ওয়ান ইলেভেনের ধারাবাহিকতা মাত্র।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি এই দিনে গভীর ষড়যন্ত্রের নীলনকশার মাধ্যমে দেশটাকে প্রভুদের করদ রাজ্যে পরিণত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিলো, তারই ধারাবাহিকতায় আবারো সেই একই দিনে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করলো ডামি ভোটের অসাংবিধানিক, প্রভুদের আজ্ঞাবাহী হাসিনার সরকার। দেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র তারা সফল করলো। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব—গণতন্ত্রের বিনিময়ে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের বাকশালের দ্বিতীয় সংস্করণ চাল করলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, নির্বাচনের দিনে প্রধান নির্বাচন কমিশনের দিবানিদ্রায় থাকা পাতানো ডামি নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আওয়ামী লীগ, ডামি আর তাদের ডামি শরিকদের মধ্যেই শুরু হয়েছে গৃহদাহ। এবার যে নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতি হয়েছে তা নিজেরাই সংবাদ সম্মেলন করে তুলে ধরছেন। এতোদিন দেশের সব জনগণ বলেছে, আমরা বলেছি। আর এখন তারা নিজেরাই গত তিনটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতির সমস্ত প্রক্রিয়ার কথা বলছেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম