• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ইইউকে কাদের: ভয়ভীতি থাকলেও ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে

প্রকাশ:  ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:০০
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে। এ নিয়ে আমাদের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। আমাদের একটা প্রবাদ আছে...যাকে দেখতে নারী তার চলন বাঁকা। এই নির্বাচনে তারা (বিএনপি) নেই। তাই এই নির্বাচনের চলন বাঁকা।”

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, “ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিএনপির নির্বাচন পণ্ডের সহিংসতা নিয়েও কথা হয়েছে। বিএনপি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জবাব দিচ্ছে সহিংসতা করে, সেটি আমরা তাদের বলেছি। ভয়ভীতি আছে। তারপরও আমরা বলেছি ভোটের টার্ন আউট সন্তোষজনক হবে। কারণ মানুষের আগ্রহ আছে। সারা দেশের ভোটারদের মধ্যে লক্ষ করা যাচ্ছে, তাতে টার্ন আউট নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। বিএনপি একটি বড় দল, টার্ন আউট নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশের স্ট্যান্ডার্ড বজায় থাকবে, সেটাই আমরা তাদের বলেছি।”

ওবায়দুল কাদের জানান, বৈঠকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, আওয়ামী লীগ নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া এবং আগামী সংসদের সম্ভাব্য বিরোধী দলসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেয়েছে ইইউ প্রতিনিধিরা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতটা প্রস্তুত, নির্বাচনবিরোধীদের অবস্থা কী, তারা মেজর কোনো সমস্যা করতে পারবে কি না, এগুলো নিয়ে অনেক প্রশ্ন, অনেক কথা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বাস্তবতায় এই নির্বাচনে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচনটা আমাদের করতে হয়েছে। ২৭টির মতো দল আছে, ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী আছেন। এসব বিষয় তারা পজিটিভলি নিয়েছেন।”

ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমাদের নির্বাচন সামনে রেখে তাদের যে দায়িত্ব, তারা আসলে বলার চেয়ে শুনতে আগ্রহী ছিলেন বেশি। তারা তেমন মন্তব্য করতে চাননি। আমরাও ইনসিস্ট করিনি। আমরা আমাদের নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছি। বিএনপি কেন আসেনি।”

তিনি বলেন, “তারা বলেছেন, আওয়ামী লীগের লোকজনই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন কি না? বাইরের কে কে আছেন? অনেকেই কি বিএনপি থেকে এসে প্রার্থী হয়েছেন? স্বতন্ত্র শুধু আওয়ামী লীগের না। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের জবাব দিয়েছি। তারা সেটা শুনেছেন।”

স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাদের বহিষ্কার এবং সদস্য পদ স্থগিত করার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “দলীয় যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ক্যাম্পেইন চালাতে পারেন। সে অধিকার দেওয়া হয়েছে। যিনি স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন, তিনি যদি আওয়ামী লীগের হন, তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের অন্য নেতাকর্মীরা কাজ করেন, তাহলে কোনো সমস্যা দেখি না। আমরা নতুন অভিজ্ঞতা বিশ্বকে দেখাতে চাচ্ছি। জনমত নিয়ে এটাও ডেমোক্রেসি। জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউকে বহিষ্কার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তারা বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করতে পারে, কিন্তু সরাসরি বহিষ্কার করতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “আমরা কাউকে সাপোর্ট দিতে পারি না? দিই তো। কোথাও কোথাও ১৪ দলের নৌকা দিয়েছি। সেখানে আমাদের সাপোর্টের বিষয় তো আছেই। বিএনপি বলবেই ভাগাভাগি। তারা নিজেরাই তো ভুয়া হয়ে গেছে। ভুয়ারা কত কথাই বলবে।”

তিনি বলেন, “তাদের আসলে মাথাব্যথা ইউক্রেন নিয়ে, গাজা-ইসরায়েল-ফিলিস্তিন নিয়ে। কাজেই শক্তিধররা বেশি মাথা ঘামাচ্ছেন এসব নিয়ে। কঙ্গোতে একটা নির্বাচন হয়েছে, কারো সঙ্গে কারো যোগাযোগ নেই। ফলাফল হয়ে গেছে। পাকিস্তানও যে ভালো গণতন্ত্রের উদাহরণ, এটা কেউ বলবে না।”

এর আগে, বিকেল ৪টার দিকে তেজগাঁওয়ে ঢাকা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যান ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল। তারা ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ,ইইউ,ওবায়দুল কাদের,নির্বাচন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close