• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মাহি: ধানক্ষেতে ঘুমানোর দরকার নেই, আমি পাশে আছি

প্রকাশ:  ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩:২৬
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপা ওরফে মাহিয়া মাহি। নির্বাচনে জয়ী হতে তিনি ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইছেন। দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি, শুনছেন ভোটারদের সুখ-দুঃখের গল্প। তাকে সামনে রেখে কর্মী-সমর্থকরা স্লোগান দিচ্ছেন, “মাহি আপার সালাম নিন, ট্রাক মার্কায় ভোট দিন”, “উন্নয়নের প্রতীক কী, ট্রাক ছাড়া আবার কী”।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নে ভোটের প্রচারণায় গিয়ে প্রেমতলী এলাকায় খেতুর গ্রামের এক বাড়ির আঙিনায় দাঁড়িয়ে ভোটারদের উদ্দেশে মাহিয়া মাহি বলেন, “আজ থেকে আর পুলিশের ভয়ে কারও ধানক্ষেতে ঘুমানোর দরকার নেই। কারণ, আমি আপনাদের পাশে আছি।”

৭ জানুয়ারি ট্রাক প্রতীকে ভোট চেয়ে তিনি বলেন, “১৫ বছর তো একজন পুরুষ মানুষ ছিলেন এমপি হিসেবে। এই এলাকার নাকি অনেক নিরীহ মানুষ, যারা মাঠে চাষবাস করেন, তাদের হয়রানি করা হয়। কথা কি সত্য?” তখন নারীরা চিৎকার দিয়ে বলেন, “সত্য।” ভিড়ের ভেতর থেকে এক নারী বলে ওঠেন, “রাইতে শুইতে পারছে না বাসাতে।”

মাহি বলেন, “আজকে এখানে যিনি ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) সাহেব আছেন, আমি তার সঙ্গে কথা বলবো। অনুরোধ করবো যে, যার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নাই, এমন কোনো লোককে, এমন কোনো কৃষক ভাইকে যেন তারা হয়রানি না করেন। আমি সবার উদ্দেশে বলে যাচ্ছি, আপনাদের ভাই কিংবা কারও স্বামী যদি এরকম ভয় পায়- এই বুঝি তাকে ধরে নিয়ে যাবে। তাদের বলে দেন, আজকে থেকে তারা যেন নিশ্চিন্তে ঘুমায়। কারণ, মাহিয়া মাহি তাদের পাশে আছে।”

রুপালি পর্দার এ চিত্রনায়িকা বলেন, “আমি আজকে ওসি সাহেবকে বলে যাচ্ছি। আজকে সবাই সবার বাবা, ভাই, স্বামীকে বলে দেন, তারা যাতে বাসায় চলে আসে। ধানক্ষেতে ঘুমানোর আর দরকার নাই।” এ সময় এক নারী “আলহামদুলিল্লাহ” বলে ওঠেন। অন্য নারীরা হাততালি দিতে থাকেন।

মাহিয়া মাহি বলেন, “যে মানুষটা আপনাদের ভাইকে-বাবাকে বাসায় ঘুমানোর সুযোগ করে দিচ্ছে, তাকে আপনারা জেতাবেন কি-না?” তখন সবাই বলে ওঠেন “ইনশাআল্লাহ”। মাহিও বলে ওঠেন, “ইনশাআল্লাহ, ৭ তারিখে দেখা হবে বিজয়ে।”

তিনি বলেন, “যে লোক শিক্ষককে অপমান করে, কৃষক ভাইদের হয়রানি করে। তাদের পক্ষে এবার জনগণ থাকবে না, মাটিকাটাবাসী থাকবে না। এই ১৫ বছরে যে কিনা আমাদের নির্যাতন করেছে, তার পক্ষে আমরা এবার থাকব না। বিপুল ভোটে এবার তাকে পরাজিত করবো। আগামী ৭ জানুয়ারি আপনারা সবাই আমাকে ট্রাক মার্কায় একটা ভোট দেবেন। চৌধুরী সাহেবকে (স্থানীয় এমপি ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী) বুঝিয়ে দিতে হবে, তানোর- গোদাগাড়ীর যে কৃষক পানির জন্য কষ্ট পাচ্ছে, সে কৃষক আর তাকে চায় না। কারণ, ১৫ বছর সে এই কৃষককে পানির কষ্ট দিয়েছে। পানির সমস্যার সমাধান করেনি। ৭ তারিখে বিপুল ভোটের মাধ্যমে আমাকে বিজয়ী করবেন। আমরা সবাই হাসবো, আর ফারুক চৌধুরী কাঁদবে।”

রাজনীতি,রাজশাহী,নির্বাচন,মাহিয়া মাহি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close