• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মানুষকে জোর করে নৌকায় উঠিয়ে গন্তব্যে নিতে পারবেন না: নুর

প্রকাশ:  ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্ল্যাকমেইল করে ওমর ফারুক শাহজাহান নৌকায় ওঠানো হয়েছে দাবি করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, জোর জবরদস্তি করে মানুষকে নৌকায় উঠিয়ে নৌকা গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারবেন না।

ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সন্মিলিত শ্রমিক পরিষদ আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, মির্জা ফখরুল, আমির খসরুদের সঙ্গে জেলে গিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন করবেন নাকি নির্বাচনে যাবেন এভাবে নেতাদের ব্ল্যাকমেইল করে এই নির্বাচনে নাটক যুক্ত করছে এই ফ্যাসিবাদী সরকার। বিরোধীদলের ওমর ফারুক শাহজাহান আজন্ম বিএনপি করেছেন। আওয়ামী লীগকে মনে প্রাণে ঘৃণা করতেন। একজন বয়োবৃদ্ধ মানুষ কত চাপ নিতে পারে। ব্ল্যাকমেইল করে শেষ পর্যন্ত নৌকায় ওঠানো হয়েছে। এইভাবে জোর জবরদস্তি করে মানুষকে নৌকায় উঠিয়ে নৌকা গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারবেন না।

তিনি বলেন, এই ফ্যাসিবাদী সরকার গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে দেশে নাটক শুরু করেছে। বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগ করে মামলা দিয়ে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের জেলে ঢুকিয়েছে। আমাদেরকেও একইভাবে বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তারের ভয় দেখাচ্ছে।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, গাজীপুরের জাহাঙ্গীরের পরিকল্পনায় প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর করে বিএনপির শীর্ষ নেতাদেরকে মামলা দিয়ে জেলে ঢোকানো হয়েছে। ৩৮ টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে। আজকে আমাদের ভোটের অধিকার হরণ করে হামলা, মামলা করছে এ সরকার। আমরা অস্তিত্বের সংকটে পড়ছি। শ্রমিকরাও এ সব আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশ দিয়ে পেটাচ্ছে। সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের সব দাবিকে আমরা সমর্থন করছি।

তিনি বলেন, আজ বিদেশ থেকে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। এই যে নিষেধাজ্ঞায় আওয়ামী লীগ ভুক্তভোগী হবে না। ভুক্তভোগী হবো আমরা সাধারণ জনগণ। আমাদের শ্রমিকরা বছরের পর বছর কাজ করতে করতে হাড় ক্ষয় করে ফেলেছে, অসুস্থ হলে তাদের সরকারি হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে থাকতে হয়। অথচ তাদের ন্যায্য অধিকার সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় না।

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, এই যে স্বাধীনতার এতো বছর পরেও ভোটের অধিকার নিয়ে কথা বলতে হয়। আন্দোলন করতে হয়। তারা মন চাইলে সমাবেশের অনুমতি দেবে। আবার মন চাইলে জেলে জেলে ভরে অত্যাচার করবে। এভাবে রাষ্ট্র চলতে পারে না। তাই আজ আমাদের অধিকারের জন্য নিজেদের মাঠে নামতে হবে।

শ্রমিক হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণ, আহতদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ, কর্মচ্যুতদের পুনর্বহাল,গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি, গার্মেন্টস শিল্পে ঘোষিত মজুরি প্রস্তাব প্রত্যাহার এবং নূন্যতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা পুনঃনির্ধারণের দাবিতে শ্রমিক সমাবেশ করা হয়।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

গন্তব্যে,নৌকা,মানুষ,জোর,গণঅধিকার পরিষদ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close