মুসলমানদের কলিজায় আঘাত দিয়েছে সুইডেন: চরমোনাই পীর
সুইডেনের স্টকহোমে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় উগ্রবাদীদের দ্বারা পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ধৃষ্টতা এবং কোরআনে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (চরমোনাই পীর)।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সুইডেনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় উগ্র ডানপন্থি রাজনৈতিক দল হার্ডলাইনের বিতর্কিত নেতা রাসমুস পালুদান পবিত্র কোরআনে অগ্নিসংযোগ করেছেন। যা শুধু কোরআন নয়; বরং বিশ্বের সব মুসলমানসহ শান্তিকামী প্রতিটি মানুষের কলিজাকে দগ্ধ করার শামিল।
সম্পর্কিত খবর
তিনি বলেন, মহাগ্রন্থ আল কোরআন আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রেরিত সর্বশেষ আসমানি কিতাব। যা মুসলমানের কাছে নিজ জানের চেয়েও প্রিয়। এক বর্ণবাদী ও ইসলামবিদ্বেষী ব্যক্তিকে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দিয়ে সুইডেন সরকার চরম অন্যায় করেছে। এর মাধ্যমে মুসলমানদের কলিজায় আঘাত দিয়েছে সুইডেন সরকার।
তিনি বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে এমন ইসলামবিরোধী কাজের অনুমতি কোনোমতেই মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে সুইডেন সরকারকে মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং বিতর্কিত ব্যক্তিকে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। নতুবা মুসলিম বিশ্ব সুইডেনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
চরমোনাই পীর বলেন, পৃথিবীর কোনো সভ্য জাতি বা দেশ কারও মৌলিক বিশ্বাসের ওপর এভাবে আঘাত হানতে পারে না। এর আগেও ২০২০ সালে সুইডেনে একই কাজ করেছিল উগ্রপন্থীরা। এ নীতিহীন ন্যক্কারজনক অপকর্মের ফলে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছিল, যাতে বহু মানুষ নিহত হয়েছিল। ফলে শুধু মুসলমান নয়; বরং বিশ্বের শান্তিকামী দেশ ও মানুষ থেকে ধিক্কার ও ঘৃণা কুড়িয়েছিল সুইডেন। এগুলো কোনোভাবেই বাক-স্বাধীনতা নয়; বরং বাক-স্বাধীনতার নামে চরম ধৃষ্টতা। এক্ষেত্রে সুইডেন সরকারের নীরব ভূমিকা বিশ্ববাসীকে হতবাক করেছে।
মুসলিম নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মুফতি রেজাউল করিম বলেন, এমন নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ড বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে জাতিসংঘ, ওআইসি, আরবলীগসহ সব মুসলিম দেশ, নেতৃবৃন্দ ও শান্তিকামী মানুষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
