ক্ষমতা ছাড়ুন, ব্যাংক লুটকারীদের নাম প্রকাশ হবে

সরকারের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ক্ষমতা ছেড়ে দেন। বিএনপি ঠিকই বের করবে কারা ব্যাংক লুট করে, তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। যারা এর পেছনে জড়িত তাদের সামনে আনা হবে।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পথশিশুদের মধ্যে খাবার ও অসহায় নারীদের শাড়ি বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে নজরুল ইসলাম খান বলেন, মানুষ এমনিতেই কষ্টে আছে। তারা আরো দুঃসময়ের ভয় পাচ্ছে। সেখানে সরকার একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কয়েকদিন আগেই বিদ্যুতের দাম বাড়ালো। এখন আবার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। শিল্পখাতে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। এর জোগান তো গরিব মানুষকেই দিতে হবে।

তিনি বলেন, আজ খাদ্যপণ্য নিয়ে জাহাজ ঘুরছে, তাদের টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। মানুষের চাকরি হচ্ছে না। কর্মসংস্থান নেই। এর মধ্যেই গ্যাসের দাম বাড়িয়ে শিল্পখাতকে আরো বিপদে ফেলা হলো। সুতরাং বাংলাদেশ আরো কঠিন সংকটে পড়ার আগেই আমাদের লড়াই করে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, দেশে আজ একটি অনির্বাচিত সরকার, যাদের দেশের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহি নেই। একদিকে কিছু লোক অর্থ লুট করে কোটিপতি বনে গেছে, অন্যদিকে কয়েক কোটি লোক দরিদ্র হয়েছে।

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হয়েছে মিথ্যা মামলার রায়ে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশে আসতে পারছেন না। যারা দরিদ্র মানুষকে ভালোবাসেন, দেশকে ভালোবাসেন- তাদের কারাগারে আটক রেখে লুটেরাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকদের বিদেশে কী পরিমাণ সম্পদ! একটি জেলার ছাত্রলীগের নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা একটি বাসযোগ্য দেশ গড়ার লক্ষ্যে আন্দোলন-সংগ্রাম করে যাচ্ছি। এ জন্য আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আজ কারাগারে।

জেডআরএফের প্রশংসা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান নিজেও মানুষের জন্য কাজ করতে ভালোবাসতেন। আজ তার নামেই ফাউন্ডেশন সেই কাজ করছে। শহীদ জিয়া এ দেশের মানুষের জন্য সব যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। শিশু একাডেমি থেকে শুরু করে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও আইন করেছেন।

বিএনপির এ নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনও অসংখ্য সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। কৃষকদের বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করে। গরিব মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে।

তিনি বলেন, আজ সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা বলেন- দুর্নীতির অভিযোগ করলেই হবে না, প্রমাণ দিতে হবে। তাহলে আপনাদের প্রতিষ্ঠান করে কী? আপনাদের লোক নাই? বিএনপির কর্মসূচি পালনের সময়তো ঠিকই ধরেন।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম