• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের পক্ষে ইসলামী আন্দোলন

প্রকাশ:  ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ২২:০৩
নিজস্ব প্রতিবেক

সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠনের পক্ষে মত দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের জাতীয় সম্মেলনে ১৫ দফা দাবি উপস্থাপন করেন দলটির আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- যেকোনো মূল্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনা, মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করা, সব স্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা, কারান্তরীণ সব আলেম এবং রাজবন্দীদের মুক্তি দেওয়া, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের আগ পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা, নির্বাচনে সব দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা।

দলটির দাবির মধ্যে আরো রয়েছে- সব সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যমে সমান সুযোগ দেওয়া, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধ করা, দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংহতি ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা, ডিজিটাল নিরাপত্তার আইন বাতিল করা, রাজনৈতিক দলের জন্য সভা-সমাবেশ ও বাকস্বাধীনতা উন্মুক্ত করা, বেকারত্ব দূরীকরণে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার ও বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা, একই সঙ্গে সবার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।

সম্মেলনে সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, আজকে দেশের সম্পদ বানের ঢলের মতো বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে। বৈষম্যের বীভৎস দৃশ্যে মানবতা লজ্জা পায়। কেউ কেউ কোটি টাকার গাড়ি কেনে; আর কোটি মানুষ একমুঠো ভাতের জন্য টিসিবির ট্রাকের পেছনে দৌড়ায়। মানুষের ভোটাধিকার শুধু কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাই নয়, বরং ভোটের অধিকার চাওয়াকেই অপরাধ মনে হচ্ছে।

তিনি বলেন, একের পর এক কালাকানুন করে গোটা দেশকেই জেলখানা বানানো হয়েছে। বিরোধী মতকে দমন করা, গুম করা, রাজনৈতিক সমাবেশে গুলি করে মানুষ মারা ক্ষমতাসীনদের নিত্য দিনের কাজে পরিণত হয়েছে।

চরমোনাই পীর বলেন, সার্বিক বিচারে দেশ যেন সেই ৭১ পূর্ব পরাধীনতার বৃত্তেই আটকে আছে। এতোগুলো বছর পরে এসে এসব দেখে খুব কষ্ট হয়। কোটি মানুষের রক্তকে এভাবে বিফলে যেতে দেখে আফসোস হয়। জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে এভাবে পরাধীনতার বেড়াজালে আবদ্ধ হতে দেখে আর সহ্য করা যায় না।

তিনি বলেন, আজকে জনগণ শান্তি চায়। ইসলামী আন্দোলন ছাড়া শান্তির কোনো বিকল্প নেই। এটি এখন আর ছোট্ট দল নয়। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছে রংপুরবাসী।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,সরকার,নির্বাচনকালীন,সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close