সহ্যের বাঁধ ভাঙলে, ফল ভালো হবে না: নানক
আমাদেরও সহ্যের সীমা আছে, সেই সহ্যের বাঁধ যদি ভেঙে যায় তার ফল ভালো হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের পঙ্গু হাসপাতালে (জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান) হাজারীবাগে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন দলীয় কর্মীদের দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
হাজারীবাগে বিএনপির কর্মসূচি থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, শাহ আলমের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। আইরিনের দুই হাত ভেঙে দিয়েছে এবং আবদুল্লাহ এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। আবদুল্লাহর শরীরে ১৮টি সেলাই লেগেছে এবং তার কিডনি ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশব্যাপী এ অবস্থা চালাচ্ছে। শুধু আওয়ামী লীগকে লক্ষ্য করে নয়, তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পুলিশ বাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা করছে। এদের খাসলত কোনো দিনই ভালো হলো না। এরা ২০০৯ সাল থেকেই একই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষ হত্যা করেছে। রাজনীতির নামে এরা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। সরকারি অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছে। ট্রেন লাইন উপড়ে ফেলেছে।
‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগেরও সহ্যের সীমা রয়েছে। সেই সহ্যের বাঁধ যদি ভেঙে যায় তার ফল ভালো হবে না। আমরা চাই দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতে। শেখ হাসিনার সরকার দেশের সব রাজনৈতিক দলকে মিছিল-মিটিং করার অধিকার দিয়েছে। কিন্তু সেই অধিকারকে যদি মনে করা হয় যে, তারা যা ইচ্ছা তাই করবে, জনগণের ওপর হামলা করবে,আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করবে, পুলিশের ওপর হামলা করবে। জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা ও জানমালের নিরাপত্তার জন্য সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভূমিকা পালন করবে।’
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম