জনগণের বেঁচে থাকার সব সম্বল শেষ হয়ে যাচ্ছে: ফখরুল
জনগণের বেঁচে থাকার সব সম্বল শেষ হয়ে যাচ্ছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পেট্রল-ডিজেল-অকটেন সব কিছুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে এই সরকার। গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে, পানির দাম বাড়িয়েছে, সারের বাড়িয়েছে। কোথায় যাবে মানুষ? আপনাদের পকেটে বহু দুর্নীতির টাকা আছে, ঘুষের টাকা আছে। কিন্তু জনগণের বেঁচে থাকার সব সম্বল শেষ হয়ে যাচ্ছে।
সম্পর্কিত খবর
রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কৃষক দলের সমাবেশে এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও দেশে কমে না মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে সারের দাম বাড়বে, যাতায়াত খরচ বেড়ে যাবে, সব কিছুর দাম বাড়বে। অর্থনীতিতে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং অর্থনীতি খারাপের দিকে যাবে? তেলের কেন বাড়ল? পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লোকসানে যাচ্ছে। লোকসানে কেন যাবে? ৫ বছর তো এই প্রতিষ্ঠান লাভ করেছে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কম ছিল। কিন্তু আপনারা কমাননি। এখন কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। আমাদের হাছান মাহমুদ (তথ্যমন্ত্রী) সাহেব বললেন, বিশ্বের সব দেশে নাকি তেলে দাম আমাদের চেয়ে বেশি। আমেরিকাতে ১৪ ডলার ছিল, তেলের দাম কমানোর সঙ্গে সঙ্গে তা ৩ ডলারে পৌঁছেছে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কমছে তখন তারাও কমায়, আমাদের দেশে- আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কমে তখন এখানে (বাংলাদেশে) তেলের দাম বাড়ানো হয়। কেন? তারা যে লুটপাট করে, তারা যে চুরি করে, দুর্নীতি করে সেই টাকাকে হালাল করার জন্য জনগণের পকেট থেকে কেড়ে নিয়ে যায়। পয়সা আমরা দেই।
তিনি বলেন, যারা মোটরসাইকেল চালায় তারা তো এখন চোখে অন্ধকার দেখছে। চোখে অন্ধকার দেখছে আমাদের কৃষক ভাইয়েরা। ডিজেলের দাম বাড়লে কিভাবে সেচের কাজ করবেন? এটাতে সরকারের কোনো কিছু যায় আসে না। কারণ, জনগণ তো তাদের দরকার নাই। তাদের আছে পুলিশ বাহিনী, বন্দুক বাহিনী, বিজিবি বাহিনী-এই বাহিনী দিয়ে সে দেশ চালাবে।
সরকার মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, দেশের কিছু মানুষকে সরকার ধনী থেকে আরো ধনী বানিয়েছে। আর কিছু মানুষকে গরিব থেকে গরিবে নিয়ে গেছে। আপনারা বড় বড় বড়াই করেন, মিথ্যা তথ্য দেন। একটা তথ্যও তাদের সঠিক না। সমস্ত তথ্যগুলো হচ্ছে জনগণকে বিভ্রান্ত করবার জন্য।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা সবাই সংঘবদ্ধ হচ্ছি, ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি। আসুন, আর নিজেদের মধ্যে ছোট-খাটো বিভেদ সৃষ্টি না করে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১৯৭১ সালের আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল জনগণের একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা তৈরি করা এবং একটা সাম্য তৈরি করা সেটা করি।
কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, আবদুস সালাম আজাদ, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না, ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের আমিনুল হকসহ কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
পূর্বপশ্চিম- এনই