আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই হিন্দুদের ওপর বেশি হামলা হয়েছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই হিন্দুদের ওপর বেশি হামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ২৮ জুলাই) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সম্পর্কিত খবর
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনায় দলের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের অন্তর্কোন্দল, দ্বিধাবিভক্তির কারণেই হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সবচেয়ে বেশি হামলা হয়। তাদের সম্পদ দখল হয়। নির্দলীয় সরকারের দাবি পাশ কাটাতে সাম্প্রদায়িক হামলার মতো নানা কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে সরকার। গণতন্ত্র পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। আওয়ামী সরকারের অধীনে ইলেকশান হতে পারে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আদমশুমারিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংখ্যা কমে গেছে শতকরা এক ভাগেরও বেশি। বারবার এই অত্যাচার হয়েছে। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে তখনই সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভিন্ন সম্প্রদায়ের সম্পত্তি দখল করেছে তারা।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের অভাবেই ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকার রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিকল্পিতভাবে হিন্দু সম্প্রদায়কে দেশ থেকে তাড়িয়ে সম্পত্তি দখল করা উদ্দেশ্যে।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনশুমারি সঠিক হয়নি। বিশ্বব্যাপী এই শুমারিকে আদমশুমারি বলা হলেও সরকার এটিকে জনশুমারি বলছে। সরকার সব ক্ষেত্রে প্রতারণা করছে। সরকার প্রতারণার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ফেক গভার্নমেন্ট।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যেখানে শিশু পর্যন্ত রক্ষা পায় না। পুলিশের গুলিতে ঠাকুরগাঁওয়ে ইউপি নির্বাচনে শিশু হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে দায়ীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
রেলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি যে আন্দোলন করছেন সেটিও আওয়ামী লীগের কৌশল বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এ মুখপাত্র।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির তদন্ত কমিটির অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরীন মুন্নি, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি, অমলেন্দু দাস অপু ও নিপুন রায় চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বপশ্চিম- এনই