• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

জিয়া-এরশাদের প্রেতাত্মা থেকে জাতি মুক্ত হতে পারেনি: রানা দাশগুপ্ত

প্রকাশ:  ২১ মে ২০২২, ১৬:৫৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

জিয়া ও এরশাদের প্রেতাত্মা থেকে গোটা দেশ ও জাতি আজো মুক্ত হতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। শনিবার (২১ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ওই পরিষদের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, বিগত ১৩ বছরে দেশের উন্নতি হয়েছে এটি ঠিক তবে, জনগণের মানস গঠন অনেক দূর পিছিয়ে গেছে। অস্বীকারের উপায় নেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ আজ আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাঙালিত্বের পরিচয় নয়, ধর্মীয় পরিচয় আজ ব্যক্তি জীবনে, সমাজ জীবনে, রাজনৈতিক জীবনে, রাষ্ট্রীয় জীবনে মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংকটটি এখানেই, এ সংকট থেকে উত্তরণে ৭২-র সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইকে আমরা অধিকতর শানিত করতে হবে। নতুনবা বিপর্যয় অনিবার্য। মনে রাখতে হবে এ বিপর্যয়ের জন্যে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর রক্তার্জিত এ বাংলাদেশ উল্টোপথে চলতে শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পর সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সংবিধানকে পাকিস্তানী সংবিধানের অনুরূপ সংবিধানে রূপান্তর করে।

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একই ধারায় পরবর্তী সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদ ১৯৮৮ সালে বাঙালি জাতিসত্তাকে নিশ্চিহ্নের জন্যে ধর্মীয় সংখ্যাগুরু জনগণের ধর্মকে রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদা দিয়ে তৎকালীণ পার্লামেন্টে বিল উত্থাপনের প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়ায় এবং মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনায় রাষ্ট্র ও রাজনীতিকে পরিচালনার আকাঙ্ক্ষায় বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ গঠিত হয়। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই এ সংগঠন প্রতিষ্ঠার জন্যে আমরা বাংলাদেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুক্তিযুদ্ধ করিনি। রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতি এ সংগঠন গঠনে আমাদের বাধ্য করেছে। এটি আপামর বাঙালি জাতির জন্যে লজ্জার।

তিনি বলেন, এ বিল উত্থাপনের দুইদিন পর ১৯৮৮ সালের ২২ মে যেদিন পার্লামেন্টে এ বিল নিয়ে আলোচনা শুরুর কথা ছিলো সেদিনই ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসেবে ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে অনেকেই উপস্থিত। জন্মসূত্রের পরিবর্তে ধর্মসূত্রে প্রাপ্ত বিশেষ নাগরিক অধিকার গোটা জাতির সার্বিক অস্তিত্বের ওপর আঘাত হানবে বলেই সেদিন আমরা আশঙ্কা করেছিলাম। ৩৪ বছর পরে এসেও আমাদের কাছে মনে হয় এ আশঙ্কা থেকেই গেছে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

রানা দাশগুপ্ত,মুক্ত,জিয়া-এরশাদ,প্রেতাত্মা,জাতি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close