• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির পরিবর্তন দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ:  ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৩ সালে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত মানবাধিকার চর্চাবিষয়ক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি মূল্যায়ন তুলে ধরা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সংবাদ সম্মেলন করে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে নাগরিকদের সরকার পরিবর্তন করতে না পারা মানবাধিকারের ক্ষেত্রে সমস্যা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে গত বছর বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বেশ কিছু বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকার কথা বলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, সরকারের নির্যাতন বা নিষ্ঠুরতা, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি; কঠোর ও জীবনের জন্য হুমকি এমন কারাগার পরিস্থিতি। এ ছাড়া নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক; বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা; রাজনৈতিক ও অন্যান্য বন্দি, সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা ও অযৌক্তিক গ্রেপ্তার, মত প্রকাশ সীমিত করার জন্য ফৌজদারি মানহানি আইনের ব্যবহার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও ইন্টারনেট ক্ষেত্রে স্বাধীনতার ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধের কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যাপক দায়মুক্তির অসংখ্য তথ্য পাওয়া গেছে।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিত করতে এবং শাস্তি দেওয়ার জন্য বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশে মানবাধিকারের সমস্যা হিসেবে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা ও সংস্থার স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য হস্তক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া সংগঠন, অর্থায়ন বা বেসরকারি এবং নাগরিক সমাজ সংস্থাগুলো পরিচালনায় সুযোগ অত্যন্ত সীমিত করে আইন প্রণয়নসহ চলাচলের স্বাধীনতার ওপর বিধি-নিষেধ; অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তন করতে নাগরিকদের অক্ষমতার কথা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ওপর গুরুতর এবং অযৌক্তিক বিধি-নিষেধ, সরকারি খাতে বড় ধরনের দুর্নীতি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধকেও সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বাল্যবিবাহ, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, যৌন সহিংসতা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার, কুয়ার বা ইন্টারসেক্স (এলজিবিটিকিউআই) ব্যক্তি, ট্রেড ইউনিয়ন এবং শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার ওপর উল্লেখযোগ্য বিধি-নিষেধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শিশুশ্রমের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশকে খারাপ উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র,বাংলাদেশ,মানবাধিকার
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close