ভূমিসেবায় সুশাসন নিশ্চিতে এপিএ’র ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: ভূমিমন্ত্রী
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং ভূমিসংক্রান্ত জনবান্ধব সেবা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
সম্পর্কিত খবর
এ সময় ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিব দায়িত্বে) মো. আব্বাছ উদ্দিন এবং অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জিয়াউদ্দীন আহমেদ এনডিসিসহ ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনায় জনগণের সম্পৃক্ততা অনেক বেশি ও প্রত্যক্ষ। বেশিরভাগ গ্রামীণ বিরোধ এবং মামলা মোকদ্দমা জমির মালিকানা সম্পর্কিত। তাই সরকার দক্ষ, আধুনিক, জনকল্যাণমুখী ও টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জনগণকে আরও দক্ষ ভূমি সংক্রান্ত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় সুশাসন আনতে এপিএ’র ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
কর্মশালায় ভূমিমন্ত্রী সরকারি দপ্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধিতে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ভূমিমন্ত্রী তার বক্তব্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ফলপ্রসূ মানসিকতা, প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে এপিএ’র গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি মন্ত্রণালয় ও মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোর মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সমন্বয় সৃষ্টির লক্ষ্যে নাগরিক সেবায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যসমূহের কার্যকর বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
নারায়ন চন্দ্র চন্দ জোর দিয়ে বলেন, ২০১৪-১৫ সালে সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত এপিএ মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর কর্মকাণ্ড প্রক্রিয়ামুখী থেকে ফলাফল-ভিত্তিক কার্যক্রমে আনায় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এ সময় মন্ত্রী ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থাসমূহকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ভিশন ও মিশনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আগামী অর্থবছরের জন্য নিজ নিজ কৌশলগত উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম নিখুঁতভাবে প্রণয়নের জন্য নির্দেশ দেন।