• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন করা যাবে, শিথিল হচ্ছে আইন

প্রকাশ:  ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৬ | আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিল্প-কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের শর্ত শিথিল হচ্ছে। যে কোনো কারখানায় শ্রমিক ইউনিয়ন (ট্রেড ইউনিয়ন) গঠন করার সুযোগ রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

বর্তমান শ্রম আইন অনুযায়ী ৩ হাজার বা এর বেশি শ্রমিক থাকা কারখানায় ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতি প্রয়োজন হয়। এখন সংশোধিত শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে কারকানায় শ্রমিকের সংখ্যার বাধ্যবাধকতার শর্ত তুলে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন।

মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, তারা (প্রতিনিধি দল) মূলত বাংলাদেশের শ্রম আইন, শ্রমিকদের অধিকার এবং তা নিয়ে আমরা কী কাজ করছি, তা নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে। তাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছিল, শ্রমিক আইনের যে সংশোধন হচ্ছে, তার বর্তমান পরিস্থিতি কী। ১১টি বিষয়ে তাদের জানার ইচ্ছা ছিল এবং কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, তা জিজ্ঞাসায় ছিল।

তিনি আরও বলেন, তাদের প্রথম জিজ্ঞাসা ছিল, থ্রেসহোল্ড ((ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার) নিয়ে। অর্থাৎ ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার জন্য যে কত শতাংশ শ্রমিক প্রয়োজন, সেটা নিয়ে। প্রথমে ২০১৬ সালের দিকে ৩০ শতাংশ ছিল। ২০১৭ সালে যখন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সম্মেলনে যাই, তখন এই থ্রেশহোল্ড ২০ শতাংশে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

তখন আমি বলেছিলাম, এটা আমরা আরও কমাব। তবে সেটা ধীরে ধীরে। এবার যখন সংশোধনী হয়, তখন প্রথম প্রস্তাব ছিল ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নিয়ে আসবো। কিন্তু সেখানে একটা শর্ত ছিল, এটা শুধু যেসব কারখানায় তিন হাজার বা তার চেয়ে বেশি শ্রমিক কর্মরত, তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। কিন্তু সেই সীমাও উঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান আনিসুল হক।

তিনি বলেন, শ্রম আইন নিয়ে যখন সমস্যা হয়েছিল, রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ফেরত আনা হয়েছিল। পরের আলোচনায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা এটা সবার জন্য করবো, কোনো সীমা থাকবে না। সেটাও আমরা মার্কিন প্রতিনিধিদের জানিয়েছি।

আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শ্রমিক আইন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ যেটা হচ্ছে, সেখানে প্রযোজ্য হবে। আগে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন লেবার অ্যাক্টে প্রযোজ্য হওয়ার কথা ছিল। সেই সংশোধনী আমরা করেছি। যে ১১টি বিষয় তারা জানতে চেয়েছিল, তাতে এগুলো ছিল।

শ্রমিকদের অধিকার দেয়ার ক্ষেত্রে কোন দেশ থেকে কী পাওয়া হচ্ছে, সেটা বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে না উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, কোনো দেশ আমাদের কী দেবে, আর কী দেবে না- সেটার ওপর নির্ভর করে আমরা শ্রমিকদের অধিকারের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করবো না। সবসময় শ্রমিকদের অধিকার যা আছে, তার থেকে বেশি যাতে তারা পায় এবং অধিকার বাস্তবায়ন করা, তারা যাতে সেটা ভোগ করতে পারে, তা এই সরকার নিশ্চিত করবে।

মার্কিন,প্রতিনিধিদল,আইনমন্ত্রী,কারখানা,ট্রেড ইউনিয়ন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close