অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তার মুক্তিতে ১৫-২০ লাখ টাকা চায় কেএনএফ
বান্দরবনে অপহৃত সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিনের মুক্তির জন্য তার পরিবারের কাছে বিভিন্ন মাধ্যমে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছে পার্বত্য এলাকার সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
সম্পর্কিত খবর
খন্দকার আল মঈন বলেন, শান্তি আলোচনার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপরতা কমিয়ে দিলেও এখন আর সেটি করা হবে না। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান আরও জোরদার করা হবে। এই মুহূর্তে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করাই প্রধান অগ্রাধিকার। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে।
তিনি বলেন, কেএনএফের আর্থিক সঙ্কট চলছিল। এ তথ্য আগেই সরকারি সব সংস্থাকে র্যাব জানিয়েছিল। বর্তমানে বান্দরবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকটি সংস্থা তৎপর রয়েছে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে ব্যাংকের ১ ভোল্ট থেকে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা।
পুলিশ জানায়, পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাজারের মসজিদ ও ব্যাংক ঘেরাও করে সবাইকে জিম্মি করে রাখে। এ সময় তারা সোনালী ব্যাংকের ভোল্ট থেকে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকাসহ ডিউটি পুলিশের ১০টি অস্ত্র ও আনসার বাহিনীর ৪টি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় তারা রুমা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এদিকে, বুধবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বান্দরবানের থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। তবে ব্যাংকের ভোল্ট এখনো অক্ষত আছে বলে জানিয়েছেন থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুন।
তিনি বলেন, দুই ব্যাংক থেকে মোট ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করা হয়েছে। ডাকাতরা ভোল্ট খুলতে পারেনি। তারা কাউন্টারে রাখা টাকা নিয়ে গেছে।
এ ছাড়াও বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক শাখার সব কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে কৃষি ব্যাংকের কার্যক্রমও। একই সঙ্গে জেলা সদরের প্রতিটি ব্যাংক এবং এটিএম বুথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম ইনচার্জ মোহাম্মদ ওসমান গণি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।