৯০০ কোটি টাকা ঘুষের অভিযোগ নাকচ বিআরটিএ’র
মোটরযান নিবন্ধন, ফিটনেস সনদ ইস্যু, রুট পারমিট ইস্যু ও নবায়নে ৯০০ কোটি টাকা ঘুষ আদান-প্রদানের অভিযোগ নাকচ করলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। একই সঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) উপস্থাপিত প্রতিবেদনকে ‘‘অনুমাননির্ভর’’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে বিআরটিএর বনানী কার্যালয়ে এসব দাবি করেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান।
সম্পর্কিত খবর
বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘টিআইবির প্রতিবেদনে বিআরটিএসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুমাননির্ভর তথ্য, যা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টিসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, এরূপ প্রতিবেদন প্রকাশে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। তবে টিআইবি যে গঠনমূলক ও বাস্তবধর্মী সুপারিশগুলো করেছে, তা আমরা আমলে নিয়ে কাজ করব।’’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ‘‘বিআরটিএকে শতভাগ ঘুষমুক্ত করার কোনো বিষয় নেই। তবে ঘুষ লেনদেন একেবারেই হয় না, তা শতভাগ হলফ করে কেউ বলতে পারবে না। যদি হয়ে থাকে, সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পৃথিবীর সব দেশেই অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আছে।’’
মঙ্গলবার টিআইবি ‘‘ব্যক্তিমালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার’’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। গবেষণায় এসেছে, বাস-মিনিবাসের মালিকের কাছ থেকে বিআরটিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বছরে ৯০০ কোটি টাকা নিয়মবহির্ভূতভাবে আদায় করেন। সব মিলিয়ে বাস-মিনিবাসের মালিকেরা চাঁদা ও ঘুস হিসেবে বিভিন্ন পক্ষকে বছরে প্রায় ১,০৬০ কোটি টাকা দেয়।