৩৯ লাশ শনাক্ত, পরিচয় মেলেনি ছয়জনের
ঢাকার বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। এর মধ্যে ৩৯ জনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে, বাকি ছয় লাশের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। ইতোমধ্যে ৩১ জনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান।
সম্পর্কিত খবর
তিনি বলেন, “বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩৯ জনকে শনাক্ত করে ৩১ লাশের কোনো ধরনের ময়নাতদন্ত ছাড়া পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ কে এম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, “লাশ হস্তান্তরের কাজটি করছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আমরা তাদেরকে সহায়তা করছি। নিহতদের পরিবারের মধ্যে যারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল নন তাদেরকে আমরা ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা করেছি।”
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে “গ্রিন কোজি কটেজ” নামের ভবনটিতে লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। তারা প্রথমে পাঁচজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধারের তথ্য দেয়। এরপর মধ্যরাত থেকে আসতে থাকে মৃত্যুর খবর। রাত ১টা ৫৫ মিনিটে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন ৪৩ জনের মৃত্যুর তথ্য জানান। এর মধ্যে ১০ জন মারা যান শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে, ৩৩ জন মারা যান ঢাকা মেডিকেলে, এছাড়া একজন মারা যান পুলিশ হাসপাতালে।