• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

গ্রিন কোজিতে আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না

প্রকাশ:  ০১ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৬ | আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৪
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

ঢাকার বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে কেন আগুন লাগল, তা এখন পর্যন্ত পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিস নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি। ভবনটিতে আগুন নেভানোর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল না বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের জানান, নিচতলা থেকেই আগুন লাগে।

মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, “শর্ট সার্কিট নাকি সিলিন্ডার ফেটে বা গ্যাস লিক করার ফলে আগুন লেগেছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা জিনিসের কেমিক্যাল পরীক্ষা হবে। তারপর আগুন লাগার আসল কারণ জানা যাবে।”

সিআইডি প্রধান আরও বলেন, “মরদেহ শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। তদন্ত করে যদি দেখা যায়, কারও দায়িত্বে অবহেলার জন্য এই ঘটনা ঘটেছে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক মঈন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছেন, “ভবনের প্রতিটি তলায় গ্যাস সিলিন্ডার ছিল।” তার ধারণা, চুলা থেকে বা গ্যাস লিক করে আগুন লাগতে পারে।

র‍্যাব-৩ এর এএসপি কামরুল হাসানের ভাষ্য, “প্রাথমিক অনুসন্ধান ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, নিচতলা থেকে আগুন উপরের দিকে উঠেছে।”

বহুতল ভবনটিতে আগুন নেভানোর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল না বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।

তারা বলেছেন, ভবনটিতে একটি মাত্র সিঁড়ি ছিল এবং আগুন লাগলে বা কোনো জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়ার ব্যবস্থা ছিল না। এছাড়া ভবনটিতে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত ছিল না।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম বলেছেন, “এই ধরনের বাণিজ্যিক ভবনে শুধু একটিমাত্র সিঁড়ি থাকা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। এটি অগ্নি নিরাপত্তা প্রোটোকলের একটি বড় ত্রুটি।”

রেজাউল করিম জানান, এই বহুতল ভবনে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট ছিল এবং সিঁড়ির পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ছিল। তাই আগুন লাগার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ও ভয়াবহ রূপ নেয়।

মৃত্যু,অগ্নিকাণ্ড,রাজধানী,ফায়ার সার্ভিস,বেইলি রোড,কাচ্চি ভাই
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close