• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

অবসরের ছয় মাসের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ভাতা দেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশ:  ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৩
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

অবসরের ছয় মাসের মধ্যে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঁচ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারীকে অবসরকালীন সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজি জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এ রায় দেন। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

আদালত বলেন, শিক্ষকদের রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট (অবসরকালীন সুবিধা) পেতে বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। এই হয়রানি থেকে তারা কোনোভাবেই পার পান না। একজন প্রাথমিক শিক্ষক কত টাকা বেতন পান, সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে। এজন্য তাদের অবসর ভাতা ছয় মাসের মধ্যে দিতে হবে। এই ভাতা পেতে শিক্ষকরা বছরের পর বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে পারেন না।

অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বলেন, সারাদেশে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পাঁচ লাখের বেশি শিক্ষক কর্মচারীর অবসরকালীন সুবিধা চেয়ে ২০১৯ সালে একটি রিট দায়ের করেছিলাম। রিটে বলা হয়, ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন থেকে ৬% কেটে নেওয়া হতো। কেটে নেওয়া টাকাসহ অন্যান্য সুবিধা অবসরের পর দেওয়া হতো। এই অবস্থায় ২০১৭ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন করে ১০% কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এই আইনজীবী আরও বলেন, ১০% কেটে নেওয়া হলেও ৬%-এর যে সুবিধা দেওয়া হতো সেটাই বহাল রাখা হয়। যে কারণে আমরা রিট দায়ের করে বলেছি, যাতে ১০%-এর সুবিধা দেওয়া হয়। এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সেই রুলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হয়।

রায়ে আদালত বলেছেন, বেতনের ১০% কেটে নেওয়া হলেও বেসরকারি শিক্ষকদের যেন বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অবসরের ছয় মাসের মধ্যে যেন অবসরকালীন সুবিধা দেওয়া হয়।

ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবিধানমালা, ১৯৯৯ এর প্রবিধান-৬ এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা প্রবিধানমালা, ২০০৫ এর প্রবিধান-৮ অনুযায়ী শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের যথাক্রমে ২% ও ৪% কাটার বিধান ছিল। যার বিপরীতে শিক্ষকদের ট্রাস্টের তহবিল থেকে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কিছু আর্থিক সুবিধা দেওয়া হতো।

কিন্তু ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল উল্লিখিত প্রবিধানমালাগুলোর শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের পূর্বোক্ত বিধান সংশোধন করে ৪ ও ৬% কাটা হবে জানিয়ে দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু এতে অতিরিক্ত অর্থ কাটার বিপরীতে শিক্ষক-কর্মচারীদের কোনো বাড়তি আর্থিক সুবিধার বিধান করা হয়নি।

২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের ওই বছরের এপ্রিলের বেতন থেকে ৬% এবং ৪% টাকা অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টে জমা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন। ফলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী আর্থিক ক্ষতির শঙ্কায় অতিরিক্ত অর্থ কাটার আদেশ বাতিল চেয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

তার ওইদিনই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,হাইকোর্ট,শিক্ষক
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close