রাজধানী ঘিরে ছয় বছরে ছয় মেট্রোরেল
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি ২০৩০ সাল নাগাদ ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ছয়টি মেট্রোলাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এই নেটওয়ার্কে ৫১টি এলিভেটেড স্টেশন ও ৫৩টি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন থাকবে। ছয়টি লাইন মিলিতভাবে দিনে ৪৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
এরই মধ্যে এমআরটি লাইন-৬ এর দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশ খুলে দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলছে মেট্রোরেল। বাকি রুটগুলোতেও দ্রুত কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৩০ সাল নাগাদ আগামী ছয় বছরে মোট ছয়টি মেট্রোরেলে রাজধানী ঘিরে চালু থাকবে। বদলে যাবে রাজধানীর পরিবর্তন ব্যবস্থা। রুটগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
সম্পর্কিত খবর
এম আর টি লাইন-১
দৈর্ঘ্য : ২৬.৬ কি. মি. রুট : হযরত শাহজালাল (রঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর - খিলক্ষেত -কুড়িল- যমুনা ফিউচার পার্ক- বাড্ডা -রামপুরা -মালিবাগ- রাজারবাগ- কমলাপুর এবং কুড়িল হতে কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাশ পর্যন্ত। নগর এলাকাতে বিমানবন্দর হতে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল আন্ডারগ্রাউন্ড দিয়ে যাবে।
এম আর টি লাইন-২
ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের এলাকার যানজট নিরসনে গাবতলী থেকে চট্টগ্রাম রোড পর্যন্ত আন্ডারগ্রাউন্ড ও এলিভেটেড সমন্বয়ে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল (মাস রাপিড ট্রানজিট -এমআরটি লাইন- ২) নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জাপান সরকারের সহযোগিতায় জি-টু-জি ভিত্তিতে ‘পাবলিক-প্রাইভেটপার্টনারশিপ’ (পিপিপি)-এর আওতায় এটি নির্মাণ করা হবে।
এমআরটি লাইন -৩
নামে যে প্রকল্প সেটি গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মাণ হবে। এটিকে বলা হচ্ছে মেট্রোরেল বিআরটি। এর নির্মাণ এখন চলছে। মেট্রোরেল নিয়ে সরকারের এই পরিকল্পনার সঙ্গে খানিকটা দ্বিমত জানান বুয়েটের অধ্যাপক ও গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ শামসুল ইসলাম।
এমআরটি লাইন-৪
২০৩০ সালের মধ্যে কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ রেললাইনের পাশ দিয়ে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পাতাল মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এমআরটি লাইন-৫
দৈর্ঘ্য : ১৯.৬ কি. মি. রুট : হেমায়েতপুর- গাবতলি-টেকনিক্যাল-মিরপুর ১- মিরপুর ১০- মিরপুর ১৪- কচুক্ষেত- বনানী-গুলশান২- নতুন বাজার-ভাটারা।
এমআরটি লাইন-৬
ঢাকা মেট্রো লাইন ৬ হল ঢাকা মেট্রো রেলের একটি রেলপথ। উত্তরা থেকে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত মেট্রোরেলের এই রুটের দূরত্ব ২০.১ কিলোমিটার। এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৩৫ মিনিট। ১৬টি স্থানে স্টেশন থাকবে।