• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

জানুয়ারিতে হতে পারে দুটি শৈত্যপ্রবাহ

প্রকাশ:  ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৮
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

জানুয়ারি মাসে দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে এ সময়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। ডিসেম্বর মাসে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি ছিল।

সোমবার (১ জানুয়ারি) জানুয়ারি মাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা বেশি থাকতে পারে। গত ডিসেম্বর মাসে সারাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গত ৩ ডিসেম্বর, চট্টগ্রামে ৩৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিসেম্বর, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মো. বজলুর রশিদ ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “এবার জানুয়ারি মাসের গড় তাপমাত্রা গত বছরের থেকে বেশি থাকবে। এমনিতেও জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা বেশি থাকে। কুয়াশার কারণে এ সময় তাপমাত্রা কমে যায়। আর গড় তাপমাত্রা থাকবে ১৫ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।”

নির্বাচনের সময় শৈত্যপ্রবাহের কোনো সম্ভাবনা আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “চলতি সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা কম। তবে ৮ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে হয়তো একটা শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। আরেকটা জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে হতে পারে।”

তিনি জানান, রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামবে না।

আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাসে দেশের উত্তর, পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও নদী অববাহিকা অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া অন্যান্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশা কোনো কোনো স্থানে দুপুর পর্যন্ত থাকতে পারে।

আগামী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের অনেক জায়গায় মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

রবিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ডে ৩০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শীতকাল,আবহাওয়া,আবহাওয়া অধিদপ্তর,শৈত্য প্রবাহ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close