• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান

ভোট দিতে বাধা এবং বাধ্য করা মানবাধিকার লঙ্ঘন

প্রকাশ:  ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোট দিতে বাধা এবং বাধ্য করা মানবাধিকার লঙ্ঘন করা বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্বের কোনো কোনো দেশ আছে যেখানে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক, যেমন নিউজিল্যান্ড। কিন্তু আমাদের দেশে সে ধরনের নিয়ম নেই, সে কারণে আমি বলবো কেউ যদি ভোট না দিতে যায় তাহলে সেটা তার ইচ্ছা। কিন্তু কেউ যদি দিতে চায় তাকে বাধা দেওয়াও অনুচিত, আইনের বরখেলাপ এবং এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। একই সঙ্গে কাউকে যদি ভোট দিতে বাধ্য করা হয় মানবাধিকার লঙ্ঘন।

তিনি বলেন,এরই মধ্যে আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়েছে এবং আগামী কয়েকদিনেও যাবো, জনসংযোগ করবো, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করবো, যাতে করে মানুষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।

বৈঠক প্রসঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, কয়েকদিন পরেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সবাই জানি নির্বাচন একটি অধিকার, আমাদের সবার সাংবিধানিকভাবে আন্তর্জাতিক দলিল মোতাবেক নির্বাচন করা এবং নির্বাচিত হওয়া দেশের নাগরিকের অধিকার। সে অধিকারটি যাতে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায় এবং দেশের একটি সুন্দর নির্বাচন সম্পন্ন হয় সে বিষয়ে আলোচনার জন্য আমরা আজকে নির্বাচন কমিশনে এসেছিলাম।

তিনি বলেন, বৈঠকে আমরা বিশেষত নির্বাচনপূর্ব সময়ে আচরণ এবং কার্যক্রম, নির্বাচন সময়কার আচরণ এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ের আচরণের বিষয়ে আলোচনা করেছি। এই আলোচনার উদ্দেশ্য ছিলো, আমরা অনেক সময় দেখেছি নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করে রাতে, কর্মীরা বিভিন্ন রকমের উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং মানুষের আস্থা অর্জনে ব্যাহত হয়, সে ধরনের কিছু যেন না হয়ে থাকে সেজন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি।

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বৈঠকে আমরা বিশেষত নির্বাচন পূর্বকালীন সময়ে আচরণ এবং কার্যক্রম, নির্বাচন সময়কার আচারন এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ের আচরণের বিষয়ে আলোচনা করেছি। এই আলোচনার উদ্দেশ্য ছিলো এটি আমরা অনেক সময় দেখেছি নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গ করে রাতে এবং কর্মীরা বিভিন্ন রকমের উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং মানুষের আস্থা অর্জনে ব্যাহত হয়, সে ধরণের কিছু যেন না হয়ে থাকে সে জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। নির্বাচনকালীন সময় অনেক সময় অনেক ধরনের উত্তেজনার সৃষ্টি করা হয়, বিশেষ করে যারা সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য অথবা পঙ্গু বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তাদের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। সেগুলো যেন না হয় এবং প্রত্যেক প্রার্থী যাতে নিজের ভোট নিজে দিতে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আমরা বলেছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন সেক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা পালন করে সেটা আমরা স্মরণ করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সময় আমাদের অভিজ্ঞতায় অতীতে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা অনেক ঘটেছিলো এমন অবস্থা যেন কখনোই না হয় এবং সেই ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দরকার হলে যথাযথ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন কৌশল নির্ধারণ করে তারা এই কাজটি সম্পন্ন করবেন সে কথা আমরা বলেছি।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা চাই দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এবং এ জন্য আমাদের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে জনসংযোগ করে যাচ্ছি এবং করবো এবং আমরা বিশ্বাস করি এটা সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ হবে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

মানবাধিকার কমিশন,চেয়ারম্যান,লঙ্ঘন,মানবাধিকার,ভোট,ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close