• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

মেট্রোরেলে হাফভাড়ার দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ:  ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:২১
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে মেট্রোরেলের স্টেশন চালু হবে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর)। বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। একই সঙ্গে মেট্রোরেলে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই।

ঢাবি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই স্টেশন চালু হওয়ায় অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা দৈনন্দিন যাতায়াতে সুবিধা পাবেন।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তৈবুর রহমান সিফাত মেট্রোরেলের এই স্টেশনের কারণে যাতায়াতে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ মিরপুর, উত্তরা থেকে পড়তে আসে। ঢাকার রাস্তার তীব্র যানজট ও বাস সেক্টরের দুরবস্থা তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। আমাদের সহপাঠীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে বসে দুর্বিষহ একটি সময় পার করে ক‍্যাম্পাসে পৌঁছাতো। বর্তমানে তারা মিরপুর থেকে ২০ মিনিটে এবং উত্তরা থেকে আধা ঘণ্টারও কম সময়ে ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে পারবে।”

শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “মেট্রোরেলের অধিক ভাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য বহন করা কষ্টসাধ্য হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মেট্রো কর্তৃপক্ষ যাতে হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করে, সে দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নজর দেবে বলে আশা করি।”

জান্নাতুল মাওয়া নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “টিএসসিতে মেট্রোরেল স্টেশন হওয়ায় প্রথম দিকে আমরা অনেকেই বিরোধীতা করেছিলাম। তখন আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে, এটি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হবে। শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটবে। কিন্তু যখন দেখি সকালে ক্লাস আর মিস হবে না, যানজটের কারণে রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট হবে না, তখন ভালো লাগা কাজ করে।”

উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, “মেট্রোরেল একটা স্বপ্নের জায়গা। একটি দেশের উন্নয়ন ব্যবস্থা দৃশ্যমান হয় যখন তাদের যাতায়াত ব্যবস্থা দৃশ্যমান হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীদের জন্য যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকরই সকাল ৮টায় ক্লাস থাকে। এ কারণে কেউ উত্তরা থেকে রওনা দিলেও অল্প সময়ের মধ্যে এসে ক্লাস ধরতে পারবে। আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের একটি সুন্দর উদাহরণ মেট্রোরেল।”

দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী তানবীর আহাম্মদ বলেন, “টিএসসিতে মেট্রোরেল সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য আশীর্বাদ। বিশেষ করে যারা অনাবাসিক ছাত্র, তাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে। এর আওয়াতাভুক্ত এলাকাগুলোতে যেকোনও প্রয়োজনে এখন খুব দ্রুত যেতে পারবো।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের কর্মচারী লাবলু বলেন, “আমার বাসা উত্তরা। আমাকে প্রতিদিন সকালে এসে টিএসসিতে আমার অফিস খুলতে হয়। রাস্তায় যানজটের কারণে আমার অনেক সময় দেরি হয়ে যায়। প্রায়ই যথাসময়ে অফিস খুলতে পারি না। এখন মেট্রোরেলে যথাযথ সময়ে এসে অফিস করতে পারবো। বাংলাদেশের জন্য মেট্রোরেল একটি সুন্দর ও যুগান্তকারী সংযোজন।”

ভাড়া,মেট্রোরেল,শিক্ষার্থী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close