• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুই মামলা

প্রকাশ:  ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৪৩
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জবরদস্তিমূলক জমি দখল, হত্যাচেষ্টা, বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের নামে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।

গতকাল নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দুটির আবেদন করেন ভুক্তভোগী আলী আজগর ভূঁইয়া ও মো. মামুন।

শুনানি শেষে মামুনের আর্জিটি মামলা হিসেবে গ্রহণের জন্য রূপগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দেন জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কায়সার আলম। একই সঙ্গে আলী আজগর ভূঁইয়ার আর্জিটি তদন্তে গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) নির্দেশ দেন আদালত।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রফিককে প্রধান আসামি করে পৃথক দুই মামলায় প্রায় ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামুনের দায়ের করা মামলায় ১৮ জনের নাম উল্লেখের পাশাপাশি আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৩৫ জনকে। আলী আজগর ভূঁইয়ার মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখের পাশাপাশি অভিযুক্ত করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কায়সার আলমের আদালত শুনানি শেষে মামুনের অভিযোগটি রূপগঞ্জ থানায় এফআইআর করার নির্দেশ এবং আলী আজগর ভূঁইয়ার আবেদনটি ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকার বাসিন্দা মো. মামুন জানান, তাদের বাড়ির আশপাশের অনেক নিরীহ মানুষের জমি সন্ত্রাসী রফিকুল ইসলাম তার বাহিনী দিয়ে হামলা চালিয়ে দখল করে নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় আসামিরা দলবল নিয়ে তাদের বাড়িতে এসে তাদের পাঁচ ভাইয়ের মালিকানাধীন ৯৫ শতাংশ জমি রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই মিজানুরের নামে রেজিস্ট্রি করে দিতে বলেন। অন্যথায় বাড়িঘর ভেঙে ফেলা ও গুলি করে পাঁচ ভাই ও মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। ১৯ অক্টোবর সকালে আসামিরা দেশীয় অস্ত্রসহ অজ্ঞাত আরও ৩০-৩৫ জন নিয়ে বাড়িতে এসে বাদীর মাকে দুই দিনের মধ্যে জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে হুমকি দিয়ে যান। সর্বশেষ ২১ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে আসামিরা বুলডোজার, হাতুড়ি, শাবলসহ বিভিন্ন দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বাড়িতে এসে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেন এবং গাভী, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, টিভি, ফ্রিজ, আলমারিসহ ঘরের প্রায় ৬৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার মালামাল লুট করে। বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় তিন তলা পাকা বাড়ি। কেটে ফেলে ৫০টি বড় গাছ। যাওয়ার সময় ২ নম্বর আসামি পিস্তল দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে দ্রুত জমিজমা রেজিস্ট্রি করে না দিলে দেখামাত্র গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যায়।

অন্য মামলার বাদী আজগর আলী ভূঁইয়া জানান, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে নাওড়া মৌজায় বাদী ও তার পরিবারের নামে থাকা ৫ বিঘা জমি রফিকুল ও মিজানুরের নামে রেজিস্ট্রি করে দিতে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। ১৮ নভেম্বর আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে তার বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায় এবং গরু-ছাগল, আসবাবপত্র, নগদ টাকা, টিভি, ফ্রিজ ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ১২ লাখ ৭৯ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যান। বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলে বাদীর এক তলা বাড়িটি, যার আনুমানিক মূল্য ৫০ লাখ টাকা। ভাঙচুরের সময় আসামিরা বাদীর বৃদ্ধ বাবার গলায় গামছা পেঁচিয়ে ধরে রাখে এবং দ্রুত জমি তাদের নামে রেজিস্ট্রি করে না দিলে সবাইকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

মামলা,রফিকুল ইসলাম,রংধনু গ্রুপ,চেয়ারম্যান
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close