ইসরায়েলকে সব জাতির বয়কট করার সময় এসেছে: মোমেন

ইসরায়েল ও এর পণ্য বয়কট করার সময় এখনই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, “সব জাতি ও ধর্মের, বিশেষ করে মুসলিম উম্মাহ এবং সম্মানিত ও মানবিক মর্যাদার জনগণের এখনই তাদের (ইসরায়েল) বয়কট করার সময় এসেছে।”

শনিবার (১১ নভেম্বর) রিয়াদে ইসলামিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে আলোচনায় যৌথ আরব-ইসলামিক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই হত্যাকাণ্ড চিরতরে বন্ধ করতে হবে। গাজার পরিস্থিতি শুধুমাত্র জাতিগত নির্মূলের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ নয়। মুক্ত বিশ্বের নেতা, মানবাধিকার, মানবিক আইন এবং সব নৈতিক মূল্যবোধের প্রবক্তাদের সহায়তায় রাষ্ট্রীয় শক্তির গণহত্যাও।”

তিনি বলেন, “যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ইসরায়েলের নেতৃত্বকে জবাবদিহিতার আওতায় আনুন। সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিক হত্যা ও অঞ্চলগুলো বর্বরভাবে নির্মূল করছে ইসরায়েল।”

তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের কাজের শাস্তি হওয়া দরকার। যাতে সব সময়ের জন্য গাজায় চলমান সংঘাতের অবসান হয়। সব বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। যাতে মানুষ তাদের নিজের দেশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস শুরু করতে পারে।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ মোটেও যুদ্ধ নয়। এটি প্রকৃতপক্ষে বর্বররা। বন্দী নিরপরাধ নারী-পুরুষ এবং বিশেষ করে শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। তারা যোদ্ধা নয়।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই ও বোনদের আত্মনিয়ন্ত্রণ, সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতার অধিকারকে সমর্থন করে এবং দৃঢ়ভাবে তাদের পাশে দাঁড়ায়।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলার অবিলম্বে বিরতির আহ্বান জানিয়েছে।”

তিনি বলেন, “ইসরায়েলকে অবশ্যই নারী ও শিশু হত্যা বন্ধ করতে হবে এবং দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে হবে।”

মোমেন বলেন, “গাজার বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী উপকরণের ক্রমাগত, দ্রুত এবং নিরাপদ সরবরাহের জন্য একটি মানবিক করিডোর খোলা রাখা দরকার।”

তিনি বলেন, “দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য একটি স্পষ্ট সময়সীমা থাকা উচিত।”

মোমেন বলেন, “সংকট নিরসনে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য অপরিহার্য।”