• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মহাসমাবেশ ৪ নভেম্বর

প্রকাশ:  ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মহাসমাবেশ ৬ অক্টোবরের পরিবর্তে ৪ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও ৬ অক্টোবর (শুক্রবার) বিকেল ৪টায় সারাদেশের মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি দলের প্রতিশ্রুতি অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার (১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান পরিষদের নেতারা।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর ঐক্যমোর্চা যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে সরকারি দল আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনি ইশতেহারে বেশ কয়েকটি ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করে। ২০২১ সালের মধ্যে এসব অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সরকার কার্যকর কোনও পদক্ষেপ গ্রহণে এগিয়ে আসেনি। এরপর ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের পর থেকে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও এর নেতৃত্বাধীন ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর ঐক্যমোর্চা সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব অঙ্গীকার বাস্তবায়নে পর্যায়ক্রমে আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এসেছে। সর্বশেষ কর্মসূচির মধ্যে ছিল গত ৮ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিভাগভিত্তিক জেলা ও মহানগর পর্যায়ে সকাল-সন্ধ্যা গণঅনশন ও গণঅবস্থান।’

তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয়ভাবে এ কর্মসূচি শুরু হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ২২ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা থেকে। ২৪ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টায় তা শেষ হওয়ার কথা ছিল। এরইমধ্যে এ কর্মসূচি একটানা ৩৪ ঘণ্টা চলার পরপরই আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অনশনস্থলে এসে অক্টোবর মাসের মধ্যেই জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করার আশ্বাস দেন।’

রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘কবির বিন আনোয়ার তখন বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের ২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারের প্রতিশ্রুতিগুলো নিয়ে বর্তমান সরকারের কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আইনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বৈষম্য বিলোপ আইন সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে আছে। দেবোত্তর সম্পত্তি আইনটি ধর্ম মন্ত্রণালয়ে আছে। সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের কাজটি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সে কারণেই আমরা সবার আগে কমিশন গঠনের পদক্ষেপ নিয়েছি। অক্টোবরের মধ্যেই এই কমিশন গঠন করা হবে।’ কবির বিন আনোয়ারের আশ্বাস এবং অনশন ভঙ্গের অনুরোধের প্রেক্ষিতে অনশনকারীরা কর্মসূচি তখনকার মতো সমাপ্তি ঘোষণা করে।’’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে গত ২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আগামী ৬ অক্টোবর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে আগামী ৪ নভেম্বর শনিবার বেলা ২টায় একই স্থানে মহাসমাবেশ আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি আগামী ৬ অক্টোবর শুক্রবার বিকাল ৪টায় সারা দেশের মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি দলের প্রতিশ্রুতি অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় তা অনুষ্ঠিত হবে বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে।’

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে, ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি বরুণ চন্দ্র সরকার, শারদাঞ্জলী ফোরামের সভাপতি রতন চন্দ্র পাল, ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা স্বপ্না বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট অপূর্ব ভট্টাচার্য্য, সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য, সুবীর দত্ত, বাপ্পাদিত্য বসু, মঞ্জু রাণী প্রামাণিক প্রমুখ।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

মহাসমাবেশ,হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ,বাংলাদেশ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close