• বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

ডেঙ্গু কমাতে এক কোটি মশারি বিতরণের দাবি সংসদে

প্রকাশ:  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেঙ্গু প্রতিরোধে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে মশারি বিতরণ করতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

আজ মঙ্গলবার(৫ সেপ্টেম্বর) সংসদে আইন প্রণয়ন কার্যাবলীর সময় তিনি বলেন, এক কোটি মশারি দিলে রোগ অর্ধেক কমে যাবে। যে রোগীর ডেঙ্গু হয়, তাকে যে মশা কামড় দেবে, ওই মশা কোন সুস্থ মানুষকে কামড় দিলে তারও ডেঙ্গু সংক্রমন হবে। এই সহজ পদ্ধতি প্রয়োগ করলে ৫০ শতাংশ রোগী কমে যাবে।

এর জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, মশারি কিনতে পারে না ঢাকা শহরে এমন মানুষ আছে বলে আমার জানা নেই। কিন্তু মশারি ব্যবহার না করার প্রবণতা আছে। মানুষ মশারি ব্যবহার করে না।

সংসদে শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, জামালপুর বিল-২০২৩ এর উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা এসব কথা বলেন।

জনমত যাচাইয়ের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ডেঙ্গু মশা গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে। মশা মারতে কামান দাগানোর কথা ছিলো, প্রয়োজনে কামান দাগাতে হবে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধ প্রক্রিয়া সহজ উল্লেখ করেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী। একই সাথে তিনি পথও বাতলে দেন । তিনি বলেন, আমি তো মনে করি খুব সহজ ব্যাপার, এক লাখ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেন, তারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে লার্ভা পরিষ্কার করবে, ওষুধ দিয়ে আসবে। এখন ওষুধটা যদি ভেজাল হয়, তাতে কোন কাজ না করলে ডেঙ্গুতো বাড়বেই, খুব স্বাভাবিক। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে বিশেষজ্ঞদের বসার অনুরোধ করেছেন তিনি।

জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুর বিষয়ে গোটা জাতি উদ্বিগ্ন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন তুলে ধরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এই বছর সারা পৃথিবীতে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা দেখা দিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে পৃথিবীর ৫০ শতাংশ লোক ডেঙ্গু ঝুঁকিতে আছে।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে মশারি কিনতে পারে না এমন মানুষ আছে বলে আমার জানা নেই। কিন্তু মশারি না ব্যবহার করার প্রবণতা আছে। মশারি ব্যবহার করে না। গ্রামগঞ্জে মানুষ আগে থেকে মশারি ব্যবহার করতো, এখনো ব্যবহার করে। এবছর ঢাকা শহরের বাইরে ডেঙ্গু ছড়িয়েছে। এই জন্য তৃণমূল পর্যন্ত মশার লার্ভা ধ্বংস করতে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান তিনি। আমরা সতর্ক আছি। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু করা সম্ভব তার সবটুকু করছি।

বিপজ্জনক সময়ে মানুষ আক্রান্ত হবে এমন বিষয়ে কোনো ছাড় নেই বলে দাবি করেন তাজুল ইসলাম। একই সময়ে ডেঙ্গু সচেতনতায় বছরের প্রথম থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে মন্ত্রণালয় বিজ্ঞাপন দিয়ে জনসচেতনতা তৈরি করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

ডেঙ্গু
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close