• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ডিএমপি: সাঈদীর মরদেহকে কেন্দ্র করে তাণ্ডব চালিয়েছে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা

প্রকাশ:  ১৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:২১
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তাণ্ডব চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এতে পুলিশের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বেলা ১১টায় রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।

কমিশনার বলেন, গতকাল আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী রাত ৮টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। তার মরদেহকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবির তাণ্ডব চালিয়েছে। তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে, গাড়ি ভাঙচুর করে পুলিশের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় দুইটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, “মঙ্গলবার ফজরের নামাজের পর জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে দখল করে নেয়। ফেসবুকে লাইভ দিয়ে সবাইকে এখানে চলে আসতে বলে। পরে বাধ্য হয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সীমিত শক্তি প্রয়োগ করে এবং তাদের ছত্রভঙ্গ করে।”

সোমবার রাতের হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়টি বিবেচনায় সাঈদীর গায়েবি জানাজার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানান পুলিশ কমিশনার।

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথম অভিযুক্ত ব্যক্তি হিসাবে জামায়াতের নায়েবে আমির সাঈদীর বিচার শুরু হয়েছিল ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর। ৮০ বছর বয়সী সাঈদী তার আগে থেকে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো ২০টি মানবতাবিরোধী ঘটনার অভিযোগ আনা হয় সাঈদীর বিরুদ্ধে।

২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এসব মামলায় রায় ঘোষণা করে ট্রাইবুনাল। ঘোষিত রায়ে বলা হয়, ১৯৭১ সালে সংঘটিত হত্যা, লুণ্ঠন, নির্যাতনসহ অন্তত ২০টি মানবতাবিরোধী অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

এর মধ্যে দুটো অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে পিরোজপুরে ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা এবং বিসা বালি হত্যা।

ওই রায়ের পর দেশজুড়ে সহিংসতা চালায় জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। ওই তাণ্ডবে প্রথম তিন দিনেই নিহত হন অন্তত ৭০ জন। এছাড়া বহু গাড়ি-দোকানপাট ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, হিন্দুদের মন্দির-ঘরবাড়ি ভাংচুর করা হয়।

সাঈদী আপিল করলে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রায় দেয়। তাতে সাজা কমে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ আসে। ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন হলেও তাতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

যুদ্ধাপরাধী,সাইদী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close