• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

চকরিয়া, পেকুয়া, রামু সদর উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের দেড় লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন

কক্সবাজারে পাহাড় ধসে মা–মেয়েসহ চারজনের মৃত্যু, ৬০ গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশ:  ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০৮:১৯
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

কক্সবাজারে ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসে দুই রোহিঙ্গাসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। অপরদিকে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার কয়েকটি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে।

চকরিয়া, পেকুয়া, রামু সদর উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের ৬০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে এসব এলাকার দেড় লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। মাতামুহুরি ও বাকখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মাতামুহুরি নদীতে ঢলের পানির সঙ্গে আসা লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে নদীর লক্ষারচর পয়েন্টে এক তরুণ ঢলের পানির সঙ্গে ভেসে গেছেন।

উখিয়া ৮ নম্বর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) পুলিশের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি আমির জাফর ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “টানা ভারি বর্ষণ চলাকালে আজ বিকেলে উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৯ নম্বর ক্যাম্পের এ ব্লকে পাহাড় ধসে রোহিঙ্গা আনোয়ারুল ইসলামের ঘরের ওপর পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস টিম ও রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবকরা মাটি খুঁড়ে আনোয়ারুলের স্ত্রী জান্নাত আরা ও তার দুই বছর বয়সী মেয়ের লাশ উদ্ধার করে।”

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জেপি দেওয়ান জানান, টানা বর্ষণে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি পাহাড় ধসে পড়লে বাড়ির দেয়াল চাপায় দুই শিশু মারা গেছে।

এদিকে, গত পাঁচ দিন ধরে কক্সবাজারে টানা ভারি বর্ষণ হচ্ছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি লোকালয়ে ঢুকছে। রবিবার রাত থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি বেড়েছে। পানিতে চকরিয়া উপজেলার কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বরইতলী, চিরিঙ্গা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, ফাসিয়াখালী চকরিয়া পৌরসভার বিএমচর পেকুয়া সদর ইউনিয়ন রামু উপজেলার গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, কাউয়ার রাজারকুল ইউনিয়নে বেশিরভাগ গ্রামে বন্যার পানি ঢুকেছে। এসব গ্রামের সড়কগুলোও পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের চকরিয়া উপজেলা কর্মকর্তা জামাল মোর্শেদ জানান, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মাতামুহুরি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মাতামুহুরি নদীর ঢলের পানির তোড়ে পেকুয়া উপজেলার মেহেরনামা বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এছাড়া আরও একাধিক এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জেপি দেওয়ান বলেন, “পাহাড়ি ঢলের পানি হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় এই বন্যা দেখা দেয়। পাহাড়ি ঢলে নদী ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করা লোকজনকে সমতলের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

পেকুয়া উপজেলার ইউএনও পূর্বিতা চাকমা বলেন, “পাহাড়ি ঢলে এই উপজেলার রাজাখালী, উজানটিয়া মগনামা, টৈটং, বারবাকিয়া, শিলখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।”

পাহারধস,অপমৃত্যু,উদ্ধার অভিযান
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close